সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনের চোখে তিনি ঠগ। কিন্তু প্রেম ঠাকুরের চোখে তিনি পাগল প্রেমিক! তাই তো জেলে যাওয়ার পর থেকে জ্যাকলিন, সুকেশকে পাত্তা না দিলেও, সুকেশ কিন্তু কোনও সুযোগই বাদ দিচ্ছেন না। যখনই মনে হচ্ছে, তখনই প্রেম নিবেদন। আর তা একেবারেই খালি হাতে নয়।
জেলের বাইরে যখন ছিলেন তখন দামি দামি উপহার দিতেন। জেলের ভিতর থেকেও একই নিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন সুকেশ আর এবার তো জ্যাকলিনের জীবনের সান্তা হয়ে গোটা একটা আঙুর বাগান উপহার দিলেন সুকেশ। সঙ্গে এক লম্বা প্রেমপত্র।
হ্য়াঁ, বড়দিনে সবাই যখন মত্ত উৎসব পালনে। ঠিক তখনই জ্যাকলিনের কাছে গিয়ে পৌঁছল একটা চিঠি। আর সেই চিঠির সঙ্গে ফ্রান্সের একটি আঙুর বাগানের দলিল। সেই চিঠিতে সুকেশ লিখলেন, ''উৎসবে তোমার থেকে দূরে থাকতেই বড় বিরক্তি। যতই তোমার থেকে দূরে থাকি, তোমার সান্তা হতে কে আটকায়!'' জানা গিয়েছে, এই আঙুর বাগান প্রায় ১০৭ বছরের পুরনো।
দুর্নীতি কাণ্ডে জেল হওয়ার পর থেকেই ঠগ সুকেশ চন্দ্রশেখরকে পাত্তা দেন না জ্যাকলিন। উলটে, সুকেশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে একেবারে ঝেরে ফেলতে চান। অন্যদিকে, জ্যাকলিনকে কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারছেন না সুকেশ। জেলে বসেই জ্যাকলিন বন্দনায় মেতে ওঠেন তিনি। আর বসন্তের হওয়ায় সেই প্রেম যেন দিন দিন বাড়ছে।
এর আগে আরেক চিঠিতে সুকেশ লিখেছিলেন, ''জ্যাকলিন আমি তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসি এবং তুমি আমার হৃদস্পন্দনের কারণ… জ্যাকলিন বেবি আমি তোমাকে খুব মিস করেছি, ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে শুরু করে, প্রতি সেকেন্ডে শুধু তোমার কথাই মনে পড়েছে। এটি আমাদের দ্বিতীয় ভ্যালেন্টাইন, কিন্তু আমরা একে অপরের থেকে অনেক দূরে। কিন্তু বেশিদিন আর এরকম থাকবে না। এই বিশেষ দিনে, আমি স্বীকার করতে চাই, জীবনে তোমাকে পেয়ে আমি খুব ভাগ্যবান। তবে তুমি চিন্তা করো না। যে গোল্ড ডিগাররা আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরিয়েছে, তাদের আমি ছাড়ব না। তুমিই সবচেয়ে সুন্দর জিনিস, যা আমাদের জীবনে ঘটেছে। বাবু, তুমি ভিতরে ভিতরে অনেক সুন্দর। ”