সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে চলা টানাপোড়েনের শেষে সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। সোমবার এই রায় দেয় দিল্লির এক আদালত।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: এক বছরের মধ্যেই ভারতে হামলা চালাবে চিন-পাকিস্তান-তালিবান, হুঁশিয়ারি BJP সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর]
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির লীলা প্যালেস হোটেল থেকে শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ আইপিসি ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে। শুরু হয় তদন্ত। শশী থারুরের বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং ৪৯৮এ ধারায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ আনে পুলিশ। বেশ কয়েকবার পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হতে হয় কংগ্রেস সাংসদকে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কোনও জোরাল প্রমাণ পেশ করতে পারেনি পুলিশ। বিগত বছর পাঁচেক ধরে চলা মামলার শুনানির অন্তিম দিন ছিল আজ অর্থাৎ বুধবার। ভারচুয়াল শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন থারুর। দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর দিল্লি আদালতের বিশেষ বিচারক গীতাঞ্জলি গোয়েল শশী থারুরকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন। পাশাপাশি, দুই পক্ষের আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিচারক বলেন যে এই মামলা থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন।
উল্লেখ্য, পাক সাংবাদিক মেহের তারারের সঙ্গে টুইটারে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ার পরের দিন, হোটেলের কামরা থেকে রহস্যজনকভাবে সুনন্দার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মেহেরের সঙ্গে শশী থারুরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে অনুমান করেছিলেন সুনন্দা। আর সেই থেকেই দু’জনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল বলে অভিযোগ। প্রাথমিক অটোপ্সি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধের প্রভাবেই মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু সুনন্দা আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাঁকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা ছিল। বারবার অভিযোগের আঙুল উঠছিল শশী থারুরের দিকে। কিন্তু এবার আদালতের রায়ে সেই কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা।