সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: জ্ঞানবাপী মামলায় (Gyanvapi case) স্বস্তিতে হিন্দুপক্ষ। জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গ’ ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা বজায় রাখার রায়ের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট। মে মাসেই এই নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ই আপাতত বজায় রেখে নির্দেশ দেওয়া হল ওই এলাকা যেমন সিল করা আছে, তেমনই রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসেই সুপ্রিম কোর্ট এক অন্তর্বর্তীকালীন রায় দিয়েছিল। তাতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছিল, ওই এলাকার সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে। যে জলাশয়ে শিবলিঙ্গ রয়েছে, সেটিকে সিল করে রাখতে হবে। এদিনও সেই রায়ই বজায় রেখেছে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: দেশের কোভিড গ্রাফে সামান্য উন্নতি, দৈনিক সংক্রমণ নামল হাজারের নিচে]
বলে রাখা ভাল, ১৪ অক্টোবর জ্ঞানবাপী মামলায় ধাক্কা খায় হিন্দুপক্ষ। মসজিদের ওজুখানায় পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’র কার্বন ডেটিংয়ের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেয় বারাণসী আদালত। বিচারক জানিয়েছিলেন, এমন কোনও পদক্ষেপ করলে তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অবমাননা হবে।
২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় কয়েকদিন আগেই বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। সেই রিপোর্ট লিক হয়ে ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’ রয়েছে বলে শোরগোল পড়ে যায়।
এদিকে, এই ভিডিও সার্ভেতে আপত্তি তোলেন জ্ঞানবাপীর ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি’র সদস্য ও তাঁদের আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি সেটা আসলে একটি ফোয়ারা। গত ২০ মে সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ওজুখানা ঘিরে রাখার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তারপর নিম্ন আদলত থেকে মামলাটি বারাণসী জেলা আদালতে পাঠিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেপ্টেম্বরে সেখানে মামলাটির বৈধতা রয়েছে বলে রায় দেয় আদালত।