সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকর করার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল গুজরাট ও উত্তরাখণ্ডের সরকার। এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সোমবার সেই আরজি খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, এই কমিটি গঠন করার ক্ষমতা আছে রাজ্যগুলির। তাই এহেন কমিটি গড়ার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ জানানো যায় না।
গুজরাটের (Gujarat) বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সেরাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে উদ্যোগী হয় বিজেপি সরকার। জানা যায়, গুজরাট হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় বিজেপি সরকারের তরফে। তারপরেই এই কমিটি গঠনের বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। অনুপ বারনওয়াল নামে এক ব্যক্তির মামলা সোমবারই খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারি ‘বেআইনি’, প্রাক্তন ব্যাংককর্তা ছন্দা কোচরকে মুক্তির নির্দেশ বম্বে হাই কোর্টের]
দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্য সরকারগুলিকে এই কমিটি গঠন করার ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান। তাই এই কমিটি গঠন করার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, দুই রাজ্যের সরকার শুধুমাত্র কমিটি গঠন করেছে। এখনই আইনের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। তাছাড়া আইনসভার ক্ষমতার আওতায় থাকা বিষয় নিয়ে আইন প্রণয়ন করারও অধিকার রয়েছে রাজ্য সরকারগুলির। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মে মাসে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করে।
বিজেপির (BJP) বক্তব্য, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকবে। লিঙ্গবৈষম্য দূর হবে। মহিলারা শক্তিশালী হবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এর ফলে সংবিধানের (Constitution of India) মূল ভাবধারা বজায় থাকবে। ‘একটি রাষ্ট্রে দুই প্রধান, দুই নিশান ও দুই বিধান থাকতে পারে না।’ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই বাক্যবন্ধ বিজেপির নীতি নির্ধারণে স্পষ্ট। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এক দেশ, এক আইনের পক্ষে সওয়াল করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। ২০১৯ সালেও বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার বিষয়টির উল্লেখ ছিল। তবে কেন্দ্রীয় স্তরে এখনও পর্যন্ত তা কার্যকর হয়ে ওঠেনি। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে এই বিধি কার্যকর করতে উদ্যোগী হচ্ছে।