সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) নিয়ে বিবিসি’র তৈরি তথ্যচিত্রকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে কেন? তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)। সেই মামলাতেই কেন্দ্রকে ৩ সপ্তাহ সময় বেঁধে দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তার মধ্যে কেন্দ্রের জবাব জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করার আসল নির্দেশিকাও শীর্ষ আদালতে পেশ করার কথা বলা হয়েছে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি এপ্রিল মাসে।
‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চন’ – বিবিসি’র (BBC) তৈরি এই ডকুফিচারটি নিয়ে এদেশ তো বটেই, তোলপাড় ব্রিটেনেও। এই ছবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘গুজরাটের দাঙ্গাকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আর তা নিয়েই মূল আপত্তি কেন্দ্রের। এহেন ‘বিদ্বেষমূলক’ ছবি এদেশে দেখানো যাবে না – এই মর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। যদিও ইতিমধ্যে জওহরলাল নেহরু-সহ দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছবিটি দেখানো হয়েছে। কোথাও কোথাও পড়ুয়াদের বাধাদানের অভিযোগও উঠেছে।
[আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন করলেন না অনুব্রত, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে তৃণমূল নেতা]
তবে ডকুফিচার প্রদর্শনী নিয়ে কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) এই মামলা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, “এভাবে মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের মূল্যবান সময় নষ্ট করা হচ্ছে, যেখানে হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক বিচারের জন্য তারিখ খুঁজছেন এবং অপেক্ষা করছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘BJP মুসলিম বিরোধী নয়, ভাইবোনেরা ভাল থাকুন’, ত্রিপুরা সফরের আগে দিলীপের সুরে সুর মেলালেন মিঠুন]
রিজিজু এমন মন্তব্য করলেও শীর্ষ আদালত সূত্রে আগামী সোমবার অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে শীর্ষ আদালতে যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন খোদ আইনমন্ত্রী। তা সত্ত্বেও শুক্রবারই প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা শোনে। আর সেখানেই নিষেধাজ্ঞা জারির কারণ জানতে চেয়ে কেন্দ্রের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট।