সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহী ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah) মামলায় বড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের। মসজিদ চত্বরে আপাতত কোনও বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানো যাবে না বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। মসজিদ পরিদর্শনের জন্য স্থানীয় এক কমিশনার নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষা চালানো হবে। সেই সমীক্ষা পরিদর্শনের জন্য একজন স্থানীয় একজন পরিদর্শক নিযুক্ত করা হবে। কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলায় এটাই ছিল এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশ। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিনই মথুরার মামলাটি নিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসে হামলার ‘ষড়ভুজ’ ছক জঙ্গিদের! পাক সীমান্তে বিশেষ অপারেশন চালাচ্ছে BSF]
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আপাতত বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা যাবে না মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদে। স্থানীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চেয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টে যে পিটিশন দায়ের হয়েছিল সেটা খুবই অস্পষ্ট। আদালতই দায়িত্ব নিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে, সাধারণ মানুষের এমনটা ভেবে নেওয়া মোটেই উচিত নয়। উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী মসজিদে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় সায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তবে শাহী ইদগাহের ক্ষেত্রে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, হিন্দুদের বিশ্বাস, ওই জায়গাটি শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। সেই মন্দির চত্বরেই রয়েছে শাহি ঈদগাহ মসজিদ। ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, প্রাচীন কেশবনাথ মন্দির ভেঙেই মসজিদটি তৈরি করেন ঔরঙ্গজেব। ১৯৩৫ সালে ওই মন্দির চত্বরের মালিকানা মথুরার রাজার হাতে সঁপে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। পর্যায়ক্রমে সেই সত্ব বর্তায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ঘনিষ্ঠ শ্রী কৃষ্ণভূমি ট্রাস্টের হাতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে তৈরি হয় সংঘাত। সেখান থেকেই দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা ঝুলছে।