সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবেসেই বিয়ে করেছিলেন মুসলিম যুবতীকে। কিন্তু গোমাংস খাওয়া নিয়েই হল চরম পরিণতি হল হিন্দু যুবকের। জোর করে তাঁকে গোমাংস খাইয়ে দেন স্ত্রী ও শালা। আর তাতেই নিজের প্রতি ঘৃণায় আত্মহননের পথ বেছে নেন ওই যুবক। দু’জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত জুনে সুরাটে (Surat) ঘটে এই ভয়ংকর ঘটনা। তবে কেন ওই যুবক আত্মঘাতী হলেন, তদন্তের পর এবার তা প্রকাশ্যে আনল সুরাট পুলিশ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের নাম রোহিত প্রতাপ সিং। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার আগে ফেসবুকে (Facebook) একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর দু’মাস পর সামনে এসেছে সেই পোস্টটি। সেখান থেকে তথ্য নিয়েই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সুইসাইড নোটে রোহিত লিখেছিলেন, “আমি এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী স্ত্রী সোনম আলি এবং তার ভাই আখতার আলি। আমার বন্ধুদের অনুরোধ করব আমি যেন সুবিচার পাই। আমাকে জোর করে গোমাংস খাওয়ানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। আমার আর বেঁচে থাকার অধিকার নেই। সেই জন্য আত্মহত্য়া করছি।” মৃত্যুর দু’মাস পর এই সুইসাইড নোটটি খুঁজে পান রোহিতের পরিবার। তারপরই সুরাট পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সোনম ও আখতারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মিলল রক্ষাকবচ, অভিষেকের শ্যালিকাকে জেরা করতে হবে কলকাতাতেই, ইডিকে নির্দেশ হাই কোর্টের]
সুরাটে একই সংস্থায় কাজ করতেন রোহিত ও সোনম। সেখানেই আলাপ এবং ধীরে ধীরে প্রেম। তারপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু মুসলিম পরিবারের মেয়ে সোনমের সঙ্গে রোহিতের সম্পর্ক মেনে নেয়নি যুবকের পরিবার। কিন্তু পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েই সোনমকে বিয়ে করেন রোহিত। আলাদা বাড়িতেই থাকতেন তাঁরা। কিন্তু তাঁর অমত সত্ত্বেও স্ত্রী ও শালার গোমাংস খাইয়ে দেওয়ার বিষয়টি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি রোহিত। তাই আত্মঘাতী হওয়ার পথই বেছে নেন।
ছেলের সুইসাইড নোট হাতে পাওয়ার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রোহিতের মা বীণা দেবী। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখচে পুলিশ।