shono
Advertisement

বাঘের ঘরে প্রভুর রেল

দেবশ্রী সিনহা, নয়াদিল্লি: থ্রিডি হলে বসে ‘জঙ্গল বুক’ দেখতে গিয়ে কার না ইচ্ছে হয়েছিল সেইরকমই এক জঙ্গলে পৌঁছে যেতে৷ যেখানে মিলেমিশে গিয়েছে নিবিড় সবুজ অরণ্যের নিস্তব্ধতা ও নদীর জলের বহমান ধারা৷ জঙ্গলপ্রেমীদের এই স্বপ্নের দেশে পূরণ করার ব্যবস্থা করতে চলেছে ভারতীয় রেল৷ এবার থেকে বিশেষ এক ট্রেনে চেপে ‘জঙ্গল বুক’-এর প্রকৃত পটভূমি মধ্যপ্রদেশের কানহা ও […]
Posted: 03:54 PM Jun 06, 2016Updated: 10:24 AM Jun 06, 2016

দেবশ্রী সিনহা, নয়াদিল্লি: থ্রিডি হলে বসে ‘জঙ্গল বুক’ দেখতে গিয়ে কার না ইচ্ছে হয়েছিল সেইরকমই এক জঙ্গলে পৌঁছে যেতে৷ যেখানে মিলেমিশে গিয়েছে নিবিড় সবুজ অরণ্যের নিস্তব্ধতা ও নদীর জলের বহমান ধারা৷ জঙ্গলপ্রেমীদের এই স্বপ্নের দেশে পূরণ করার ব্যবস্থা করতে চলেছে ভারতীয় রেল৷ এবার থেকে বিশেষ এক ট্রেনে চেপে ‘জঙ্গল বুক’-এর প্রকৃত পটভূমি মধ্যপ্রদেশের কানহা ও বান্ধবগড় ন্যাশনাল পার্কে পৌঁছে যেতে পারবেন পর্যটকরা৷

Advertisement

সাদা বাঘের জন্য বিখ্যাত মধ্যপ্রদেশের জঙ্গল৷ এমনকী, মধ্যপ্রদেশের এই দুই জাতীয় উদ্যানে রয়েছে তিনটি টাইগার জোন৷ তাই ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টাইগার এক্সপ্রেস’৷ বিশেষ এই রুটের নামকরণ করা হয়েছে ‘টাইগার সার্কিট’৷ রবিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে অরণ্যপ্রেমী পর্যটকদের জন্য এই বিশেষ ট্রেন উপহার দিল রেলমন্ত্রক৷

এদিন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু দিল্লির সফদরজং স্টেশনে এই বিশেষ ট্রেনটির উদ্বোধন করেন৷ দিল্লি থেকে পাড়ি দিয়ে এই ট্রেন পৌঁছবে কানহা, বান্ধবগড় ও জবলপুরে৷ আবার ছয় দিন পর পর্যটকদের সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসবে দিল্লি৷ জঙ্গল-সহ দেখা যাবে নর্মদা নদীর উপর দেশের বিখ্যাত জলপ্রপাত ‘ধুয়াঁধার ফলস’৷ রেলের তরফেই ব্যবস্থা হবে ‘জঙ্গল সাফারি’র৷ এমনকী, পর্যটকদের খুঁটিনাটি চহিদা ও হরেক রকমের পরিষেবাও দেবে রেলই৷

টাইগার এক্সপ্রেসের যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলাদা একটি ‘ডাইনিং কোচ’-এর৷ অনেকটা বেসরকারি প্যাকেজ টুরের মতো৷ শুধু ফেলো কড়ি, মাখো তেল৷ টাইগার এক্সপ্রেসে থাকছে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিট৷ মাথাপিছু ভাড়া পড়বে ৪৩,৫০০ ও ৩৮,৫০০ টাকা৷ রেল কতৃপক্ষ জানাচ্ছে, ‘টাইগার সার্কিট’  রেলের পশ্চিমাঞ্চলের ‘ডেজার্ট সার্কিট’ বা উত্তর ভারতের ‘হেরিটেজ সার্কিট’-এর মতোই গুরুত্ব পাবে৷

তবে এই নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনা৷ অনেকের দাবি, রেল বাজেটে ঘোষিত এই টাইগার এক্সপ্রেস শুধুমাত্র রেলের ব্যাবসা বাড়ানোর জন্য৷ প্রশ্ন উঠছে, টাইগার সার্কিট কি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে আগামী দিনে? বাড়িয়ে তুলতে পারে দূষণ?  কারণ নিবিড় অরণ্যে বাসকরা পশুরা শব্দহীন জায়গায় থাকতেই পছন্দ করে৷ সে ক্ষেত্রে পরিবেশের পক্ষে কতটা সুখকর হবে এই টাইগার সার্কিট?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement