সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক একমাস কলকাতায় দাঁড়িয়ে যে কথা বলে গিয়েছিলেন সোমবার তা রাখলেন বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। কলকাতা ও হাওড়ার পুলিশ কমিশনার-সহ রাজ্যের কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস (privilege notice) জমা দিলেন। তাঁর সঙ্গে এই নোটিস জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোর্তিময় মাহাতোও। বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ওম বিড়লা।
তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসার পর দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বেঙ্গালুরু দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের তুমুল সমালোচনা করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন। নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশ ও তৃণমূল বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকদের প্রাণনাশের চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ, কাঠমাণ্ডু যাচ্ছেন ভারতের বিদেশসচিব]
এপ্রসঙ্গে তেজস্বী সূর্য (Tejasvi Surya) বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর সরকার একজন জঙ্গির মতো তার গুন্ডাদের নিয়ন্ত্রণ করছিল। পুলিশ ও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এক হয়ে আমাদের উপর বিভিন্ন বাড়ির ছাদের উপর থেকে বোমা ছুঁড়ছিল। জলের সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে আমাদের গায়ে স্প্রে করা হচ্ছিল। ওতে করোনার জীবাণু বা তার থেকেও খারাপ কিছু ছিল। আসলে পশ্চিমবঙ্গে মমতার সরকার যেভাবে চলছে তার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসনের সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। এই রাজ্যে যতগুলো পুলিশ স্টেশন রয়েছে সেগুলি তৃণমূলের দলীয় অফিসে পরিণত হয়েছে আর আধিকারিকরা শাসকদলের চাকরে। তাই গত দেড় বছরে পশ্চিমবঙ্গে ১২০ জন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আসলে তাঁর সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বুঝতে পেরেই বিরোধীদের উপর দমনপীড়ন চালাচ্ছেন মমতাজি।’