সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াশিংটনে এক শিখ স্কুল পড়ুয়াকে মারধরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এ বিষয়ে আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাসের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।
[সাঁড়াশি চাপে জাকির নায়েক, তাকে ফেরাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ভারত]
গত ২৬ অক্টোবর ওয়াশিংটনের কেন্ট শহরে চোদ্দ বছরের ওই কিশোরকে বেধড়ক মারধর করে তারই এক সহপাঠী। ঘটনার এক ভিডিও ক্লিপও ছড়িয়েছে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রথমে ওই শিখ কিশোরীকে ধাওয়া করে তার সহপাঠী। তারপর রীতিমতো মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। এমনকী, আক্রান্ত কিশোর নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে, মারধরের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় হামলাকারী। কিন্তু, হঠাৎ এক সহপাঠীর হাতে কেন মার খেল ওই শিখ কিশোর? আক্রান্তের বাবার দাবি, একই স্কুলে পড়লেও, হামলাকারীকে চেনে না তাঁর ছেলে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণে তাকে মারধর করেছে ওই মার্কিন কিশোর। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে মার্কিন মুলুকে রয়েছে আক্রান্তর পরিবার। ঘটনায় রীতিমতো হতবাক তার বাবা। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এটা খুবই বড় ঘটনা। এখন আমার মনের কী অবস্থা, সেটা বলে বোঝাতে পারব না।’ যদিও এই ঘটনাকে বর্ণবিদ্বেষমূলক হামলা বলে মানতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই দুই কিশোরের মধ্যে আগে কোনও গণ্ডগোল হয়েছিল। তাই শিখ কিশোরকে মারধর করেছে তারই সহপাঠী এক মার্কিন কিশোর।
[জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে]
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে মার্কিন মুলুকে শিখ কিশোরকে মারধরের ভিডিও নজরে পড়েছে অনেকের। ভিডিওটি চোখে পড়েছে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও। এরপরই সক্রিয় হন তিনি। মার্কিন মুলুকে ঠিক কী কারণে ওই শিখ কিশোরকে আক্রান্ত হতে হল, তা জানতে চেয়ে আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাসের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। টুইটারে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিখ কিশোরকে মারধরের খবরটি দেখেছি। এই ঘটনা নিয়ে আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাস রিপোর্ট পাঠাতে বলেছি।’
প্রসঙ্গত, আমেরিকার কেন্ট শহরে শিখ সম্প্রদায়ের বহু মানুষের বাস। শান্ত এই শহরটিতে এতদিন সেরকম কোনও সমস্যা ছিল না। অভিযোগ, ট্রাম্প জমানায় ভারতীয় বংশোম্ভুতদের উপর বর্ণবিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনার বাড়ছে।
[রেকর্ডের তাগিদে তৈরি হল ৮০০ কেজি খিচুড়ি, ‘তড়কা’ দিলেন রামদেব]
The post মার্কিন মুলুকে আক্রান্ত শিখ কিশোর, দূতাবাসের কাছে রিপোর্ট তলব সুষমার appeared first on Sangbad Pratidin.