কোন্দল বাড়ির কলহ বন্ধ করতে আসা সৌদামিনীর কাণ্ডকারখানা দেখতে হলে চোখ রাখতে হবে জি বাংলায়। আজ ১৭ জুন থেকে ‘সৌদামিনীর সংসার’ দেখা যাবে, প্রতি সোম থেকে শুক্র জি বাংলায় রাত ১০:৩০টায়।লিখছেন সোমনাথ লাহা৷
প্রতিনিয়ত ব্যস্ত জীবনচর্যায় হাসতে ভুলে গেছি আমরা। এমনকী টেলিভিশনেও টেনশন দেওয়ার রসদ বেশি বই কম নয়। এমতাবস্থায় নিত্যকুটকচালি, প্রতিশোধস্পৃহা, প্রতিহিংসার থেকে বেরিয়ে নির্ভেজাল হাসির রসদ নিয়ে আসছে জি বাংলার নতুন মেগা ধারাবাহিক ‘সৌদামিনীর সংসার’। পাঁচ-ছয়ের দশকের গ্রাম্য প্রেক্ষাপটে গাঁথা এই পিরিয়ড পিস মেগা ধারাবাহিকটি জুড়ে রয়েছে হাসির রোল। তবে হিংসাবিহীন এই ধারাবাহিকটিতে রয়েছে কোন্দল। তবে তারও কারণ রয়েছে যথাযথ। মেগার পরিচালনার দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস। প্রসঙ্গত, তাঁর হাত ধরেই আজ জি বাংলায় ‘রানি রাসমণি’-র জয়জয়কার। সৃজনশীল পরিচালনায় রয়েছেন সৃজিত। শিল্প নির্দেশনায় জয় চন্দ্র চন্দ্র।
[আরও পড়ুন: এনওসি দিলেন রানা সরকার, বকেয়া পারিশ্রমিক পেতে পারেন টলিপাড়ার কিছু শিল্পী]
কাহিনি আবর্তিত হয়েছে বেড়াচাঁপা গ্রামের একটি বাড়ি ‘শান্তিনিবাস’-কে কেন্দ্র করে। কিন্তু বাড়ির নাম শান্তি হলে কী হবে, বাড়িতে দিনরাত অশান্তি, ঝুটঝামেলা লেগেই রয়েছে। তাই তো পড়শি কে বা কারা বাড়ির পাঁচিলে লিখে দিয়েছে ‘কোন্দল বাড়ি’। আর এই মুখুজ্যে বাড়ির এক একজন এক এক অবতার বললেও কম বলা হয় না। বাড়ির বড় ছেলে উমানাথ ব্যবসা করতে গিয়ে বারংবার ব্যর্থ হয়ে গণেশ উলটে দেয়, তো ছোট ছেলে গৌরীসাধন মনে করে যে দেশ এখনও স্বাধীন হয়নি আর নেতাজি আজও জীবিত। মুখুজ্যে বাড়িতে উপার্জনক্ষম বলতে একজনই। সে হল বাড়ির মেজ ছেলে কালীসাধন। তাই কালীসাধনের স্ত্রীর প্রবল দেমাক। কারণ তার স্বামী একাই রোজগেরে কিনা।
আর এহেন পরিবার নিয়ে বাড়ির কর্তা হরিসাধন, যিনি উমানাথ, কালীসাধন ও গৌরীসাধনের পিতা রীতিমতো নাজেহাল, কিছুতেই তিনি এই পরিবারকে কোন্দলমুক্ত করতে পারছেন না। হরিসাধনের ঠাকুরদা করালী মুখুজ্যে মারা গিয়েছেন বহুদিন হল। ব্রহ্মদৈত্য করালী মাঝে মাঝে তার নাতি হরিসাধনকে দেখা দেন। হরিসাধনের সঙ্গে সংসারের ভাল মন্দ নিয়ে কথা বলেন। তাদেরই যৌথ উদ্যোগে বাড়ির কনিষ্ঠ সদস্য শংকরের সঙ্গে বিয়ে হয় সৌদামিনীর। এছাড়াও রয়েছে এক ভূতের রাজা। আর আছে হরিসাধনের বাম ও ডান হাত নব। কিন্তু সৌদামিনী কি পারবে কোন্দল বাড়িকে সত্যি সত্যি শান্তিনিবাস হিসাবে গড়ে তুলতে? কারণ, মুখুজ্যে বাড়িতে রয়েছে এক অমূল্য সম্পদ। আর সেটাই ঝামেলার মূলে। সঙ্গে বাড়ির ছোটছেলের পাগলামি তো রয়েইছে। এই সব কিছু কি সৌদামিনীর পরশে শান্ত হবে? উত্তর মিলবে ধারাবাহিকটির প্রতিটি পর্ব জুড়ে।
মেগায় সৌদামিনীর চরিত্রে রয়েছেন সুস্মিলি আচার্য। সম্পর্কে পরিচালক দয়াল আচার্যর কন্যা সুস্মিলি ইতিমধ্যেই ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ ধারাবাহিকে সত্যবতীর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছে। যাদবপুর আদর্শ বালিকা শিক্ষায়তনের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুস্মিলি পড়াশোনার পাশাপাশি নাচও শেখে। এমনকী ছবি আঁকতেও ভালবাসে সে। সৌদামিনীর পাশাপাশি এই ধারাবাহিকে মিনির চরিত্রেও দেখা যাবে তাকে। একদিকে এলোচুলে আটপৌরে শাড়ি পরে ছুটে বেড়ানো, গ্রামীণ ভাষায় কথা বলা সৌদামিনীর, অন্যদিকে ফ্রক পরা আধুনিকা মিনি। তাই গল্পে ট্যুইস্ট যে রয়েছে তা বোঝাই যায়। আর সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা।
[আরও পড়ুন: ধারাবাহিকে ক্যামিওর চরিত্রে শ্রাবন্তী! ছোট পর্দায় অভিনেত্রীকে দেখতে উৎসাহী দর্শক]
অপরদিকে, শঙ্করের চরিত্রে রয়েছেন অধিরাজ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিপূর্বে ‘মহানায়ক’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শকরা। শুধু তাই নয়, ‘গোয়েন্দা তাতার’ ছবিতে তাতারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অধিরাজকে। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত, সমীর বিশ্বাস, সমতা দাস, অরিন্দম বাগচী, অর্ণব ভদ্র, বনি, প্রীতি ও অন্যান্য শিল্পীরা।
The post কোন্দলবাড়ির কাণ্ডকারখানা দেখতে নজর রাখুন ‘সৌদামিনীর সংসার’-এ appeared first on Sangbad Pratidin.