রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: করোনা ভাইরাস (Coronavirus) সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচারে সাইকেল র্যালি করছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের একদল সাঁতারু। মহিষাদল থেকে সাইকেলে মন্দারমণি যাচ্ছিল তারা। এদের অধিকাংশই স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরী৷ কাঁথি শহর দিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) বাড়ির সামনে কৌতূহলবশত দাঁড়িয়ে পড়েছিল তারা৷ বাড়ির সামনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েকজন জিজ্ঞেসও করে, শুভেন্দু অধিকারী বাড়িতে আছেন কি না। আর তাতেই এসে গেল অযাচিত সুযোগ৷ বাড়ির নিচে ওই সাঁতারুরা অপেক্ষা করছে, তা জানতে পেরে বাড়ির দোতলায় ডেকে নিলেন শুভেন্দু৷ তারপর চলল কিছুক্ষণের আলাপচারিতা।
মহামারী থেকে মুক্তির বার্তা দিয়ে শুক্রবার মহিষাদল থেকে সাইকেলে মন্দারমণির উদ্দেশে রওনা দেয় মোট ১৫ জন সাঁতারু৷ তাদের মধ্যে চারজন কিশোরী৷ প্রশিক্ষক অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সকালে এই যাত্রা শুরু করে ওই সাঁতারুরা৷ কাঁথি (Kanthi) শহরের উপরেই শিশির অধিকারী-শুভেন্দু অধিকারীদের বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’৷ সেই বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ই কিছুক্ষণের জন্য থামে ওই সাঁতারুদের দল৷ এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য রাজনীতির অন্যতম চর্চিত নাম৷ ফলে তাঁকে ঘিরে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি হয়েছে৷
[আরও পড়ুন: লকআপের তালা খোলামাত্রই ধেয়ে এল কাচের টুকরো, হাসপাতালে বন্দির হাতে আক্রান্ত চিকিৎসক]
ওইদিন শুভেন্দু বাড়িতেই ছিলেন৷ ওই সাঁতারুদের কথা জানতে পেরে তিনি তাদের বাড়ির দোতলায় ডেকে নেন৷ এরপর ওই সাঁতারুদের চা, জলখাবারের ব্যবস্থা করেন তিনি৷ তাঁদের আবদার মেনে ছবিও তোলেন শুভেন্দু৷ সাঁতার, সমাজ সচেতনতার পাশাপাশি ওই কিশোর-কিশোরীদের মন দিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপি নেতা৷ শুভেন্দুর এই বন্ধুসুলভ আচরণ, আন্তরিক ব্যবহারে খুবই খুশি ওই সাঁতারুরাও৷তবে শুভেন্দু নিজে বিষয়টি নিয়ে একেবারেই প্রচার চাননি৷ এর আগেও শুভেন্দুর এমন জনদরদী কাজের কথা শোনা গিয়েছে। যদিও সেসবই প্রচারের আড়ালে সযত্নে রেখেছেন তিনি।