সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন করে আফগানিস্তানের (Afghanistan) দখল নিয়েছে তালিবান (Taliban)। আর ঠিক সেই সময়ই পাকিস্তানের জেল থেকে ছাড়া পেল প্রাক্তন তালিবান শীর্ষনেতা মোল্লা মহম্মদ রসুল। ২০১৬ সালের মার্চে তাকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা বালোচিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই সময় তালিবানের বিরুদ্ধেই প্রবল যুদ্ধে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
পাঁচ বছর পরে মুক্তি পেয়েছে ৫৬ বছরের নেতা। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। এবার কি তালিবান নেতৃত্বের অংশ হয়ে উঠবে রসুল? সে কি এবার আফগানিস্তানে আসবে? আপাতত সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে ওয়াকিবহাল মহলে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যক্ষ্ণায় আক্রান্ত হয়ে তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর পরে কে নেতা হবে তা নিয়েই সংঘাত বাঁধে রসুল ও মোল্লা মহম্মদ মনসুরের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: কাল হল নেপথ্যের গুজবই, কাবুলের বিমান থেকে খসে পড়া দুই ভাইয়ের কাহিনি বড়ই বেদনাদায়ক]
২০১৫ সালের নভেম্বরে আফগানিস্তানের পশ্চিম ফারাহ প্রদেশের এক নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয় রসুল। তার এবং তার অনুগামীদের অভিযোগ ছিল, মনসুরের নেতৃত্ব নিয়ে। মনসুর নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে আন্দোলনকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তোলে তারা। এমনকী, পাকিস্তানের হয়ে কাজ করার অভিযোগও ওঠে। আফগান সরকারের সঙ্গে মনসুরের শান্তি আলোচনারও বিরোধিতা করে রসুল।
মোল্লা ওমরের মৃত্যুর পরেও দু’বছর পর্যন্ত তার মৃত্যুর কথা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কিন্তু ২০১৫ সালে তা প্রকাশ করা হয়। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে এবার কে হবে তালিবানের শীর্ষনেতা। আর তখনই থেকেই দানা বাঁধে রসুল ও মনসুরের মধ্যে। পরের বছরই গ্রেপ্তার হতে হয় রসুলকে। শেষ হয় সেই সংঘাত।
[আরও পডুন: ভাঁড়ারে বারুদ আছে, ভাত নেই! তালিবানি রাজত্বে অনাহারের মুখে প্রায় দেড় কোটি আফগান]
অবশেষে গতকাল বুধবার ছাড়া পেয়েছে রসুল। প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান কি সময় বুঝেই ছেড়ে দিল তাকে? কেননা আফগানিস্তান নতুন করে কবজায় আনার পরে তালিবান এখন একত্র হওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়েও শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় রসুলের প্রত্যাবর্তনে কি পরিস্থিতি আরও জটিল হবে? নাকি তাকে ফিরিয়ে দেওয়া নেতৃত্বের দায়ভার? আপাতত সেই প্রশ্নেরই খোঁজ চলছে আফগানভূমে।