সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহে প্রাথমিকের ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে টাইপোগ্র্যাফিক্যাল ভুল ছিল বলে শোনা গিয়েছিল। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আইনজীবী। সেই কারণেই বাতিল চাকরির সংখ্যা ৩৬ হাজার থেকে কমে দাঁড়াল ৩২ হাজারে। আদালতের নির্দেশ সংশোধন করলেন বিচারপতি। বললেন, “এত দুর্নীতি হয়েছে চাকরি বাতিল না করে উপায় ছিল না।”
বিষয়টা ঠিক কী? গত ১২ মে অর্থাৎ শুক্রবার প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৪ সালের টেট থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্তদের মধ্যে যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, তাঁদেরই চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে তাঁর কড়া নির্দেশ ছিল, আগামী ৩ মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল থেকে নিয়োগ করতে হবে। সেই ঘটনার জল গড়িয়েছে অনেক দূর।
[আরও পড়ুন: ফোন পুকুরে ফেলেও শেষরক্ষা হল না, তদন্তকারীদের হাতে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার সমস্ত চ্যাট!]
তবে এরপরই প্রকাশ্যে আসে সংখ্যাগত ভুলের কথা। সেই সময় নির্দেশ সংশোধনের আরজি জানান মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী। সেই আবেদনের শুনানি ছিল মঙ্গলবার। এদিন নির্দেশ সংশোধন করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানালেন, চাকরি বাতিলের সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার। প্রসঙ্গত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রাজ্য। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা।