গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও আদালতের ভর্ৎসনার মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন কে এবং দুর্নীতির পিছনে মাথাই-বা কে, তা জানতে তদন্ত কি অনন্তকাল চলবে বলে প্রশ্ন তুলে শুক্রবার ভরা আদালতে ওই দুই তদন্তকারী সংস্থাকে কার্যত তুলোধোনা করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বিচারপতির রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন, ‘‘আপনারা যখন এই দুর্নীতির তদন্তে একটা গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছবেন, তখন এই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আদৌ থাকবে তো?’’ রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে শুক্রবার আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ‘‘আকাঙ্ক্ষিত গতিতে আপনাদের তদন্ত চলছে না।’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গত শুনানিতে দুই সংস্থা ইডি ও সিবিআইকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে মুখবন্ধ খামে দুই সংস্থার রিপোর্ট জমা পড়ে।
[আরও পড়ুন: দ্রুত আয়ের লক্ষ্যে পর্নোগ্রাফি বানাতে স্ত্রীকে টার্গেট, ৫ বন্ধু মিলে ধর্ষণ! গ্রেপ্তার স্বামী]
আদালতে ইডি’র আইনজীবীর দাবি, ‘‘প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির শিকড় খুঁজতে গিয়ে ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত ১৩ জুলাই কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীল ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ১৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত নথি এবং ৪৩টি স্থাবর সম্পত্তি প্রসিড অব ক্রাইম হিসাবে অ্যাটাচ করা হয়েছে।’’
সূত্রের খবর, ইডির দেওয়া রিপোর্টে এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআই রিপোর্টে জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠিতে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে আদালতে। তাদের দাবি, কুন্তল ঘোষের উপর কোনও শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। কুন্তল ঘোষের অভিযোগ মিথ্যে।