অর্ণব আইচ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়াচ্ছে একের পর এক নাম। কে মূল মাথা, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। তারই মাঝে শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে বিস্ফোরক ইডি’র আইনজীবী। তাঁকে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের শিক্ষক এবং শান্তনুকে ছাত্র বলেই দাবি আইনজীবীর।
ইডি হেফাজত শেষে শুক্রবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। সওয়াল জবাব চলাকালীন ইডি’র আইনজীবী বলেন, “আমরা আগে জানিয়েছিলাম সোনার খনির মধ্যে প্রবেশ করেছি। অয়ন শীলের গ্রেপ্তারের পর শুধু স্কুল নিয়োগ নয় অন্য ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে। এখন দেখছি এই খনি অসীম অনন্ত। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক। শান্তনু ছাত্র। পার্থ পথ দেখিয়েছেন। আর এরা অনুসরণ করেছে।”
[আরও পড়ুন: ‘রানিকে প্রথমে নকল চড় মেরেছিলাম!’, ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবি নিয়ে অকপট অনির্বাণ]
কীভাবে একের পর এক সংস্থা খুলে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী সে বর্ণনাও দেন ইডি’র আইনজীবী। তিনি আদালতে জানান, “প্রার্থীদের টাকা ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ হয়েছে। সংস্থা খোলার জন্য ডামি ডিরেক্টর নিয়োগ করেছে। ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে সম্পত্তি কেনা এবং কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।” এরপর আইনজীবী আরও বলেন, “শীতের পর বসন্ত আসে। বসন্ত তারপর গরম এবং বর্ষার পর রামধনু। একটু ধৈর্য ধরুন আমরা বসন্তে আছি। সেই রামধনুর কাছাকাছি পৌঁছেছি।” এদিকে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে ইডি’র আইনজীবী জানান, নিয়োগ দুর্নীতিতে স্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই বলেই জানিয়েছেন শান্তনু। এদিন খারিজ হয়ে যায় শান্তনুর জামিনের আবেদন। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।