সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২০ কোটি ফেসবুক ইউজারের তথ্য চুরি করার দাবি করল হ্যাকাররা। তাদের দাবি, ইউজারদের নাম, বাসস্থান ও ফোন নম্বর-সহ বহু তথ্যই সব হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক সাইবার নিরাপত্তা ওয়েবসাইটে এমনই দাবি করা হয়েছে। ডার্ক ওয়েবে ওই বিপুল ডেটাবেস বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সত্যিই কি তথ্যগুলি সঠিক? নাকি হ্যাকাররা মিথ্যে দাবি করছে? এই বিষয়ে ওই ওয়েবসাইটের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের গবেষকরা তথ্যের বিভিন্ন অংশ খতিয়ে দেখে নিশ্চিত করেছেন যে ওই তথ্যগুলি বৈধ (অন্তত যেটুকু অংশ তাঁরা পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ পেয়েছেন)। আর তা থেকেই বেড়েছে উদ্বেগ। এর অর্থ ওই তথ্যকে অনায়াসেই সাইবার জালিয়াতির কাজেও ব্যবহার করা হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে 'আইডেন্টিটি ফ্রড'-এর মতো বিষয়ও। অর্থাৎ নকল পরিচয় ভাঁড়ানো। যে পরিমাণ তথ্য চুরির কথা বলা হচ্ছে, সত্যি হলে সেটাই ফেসবুকে এযাবৎ সবচেয়ে বেশি তথ্য হাতানোর ঘটনা।
কিন্তু সত্যিই কি হ্যাকারদের দাবি উদ্বেগজনক? সন্দেহ রয়েছে। আসলে এক্ষেত্রে দু'টি ফ্যাক্টর রয়েছে। এক, হ্যাকাররা এই পোস্ট মাত্র একবারই করেছে। ফলে তাদের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ করা যেতেই পারে। দুই, একই ধাঁচের তথ্য এর আগেও ফাঁস হওয়ার হুমকি দিয়েছিল অন্য হ্যাকাররা। ফলে হতেই পারে এটা সেই তথ্যপঞ্জিই। কেবল কিছুটা অতিরিক্ত তথ্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
আর এই পরিস্থিতিতেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে মেটা। মার্ক জুকারবার্গের সংস্থার এক মুখপাত্র এবিষয়ে বলতে গিয়ে জানান, ''এমন দাবি নতুন নয়। আমরা আগেই এই বিষয়ে জানিয়েছিলাম। এবং সেই থেকেই এমন তথ্যচুরি রুখতে পদক্ষেপও করেছিলাম।''
