সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই চর্চায় কেন্দ্রের সঞ্চার সাথী অ্যাপ। সরকার বাধ্যতামূলক নয় তা জানানোর পরও ১ কোটির বেশি মানুষ ডাউনলোড করেছেন অ্যাপটি। কারণ একটাই, নিরাপত্তা। কিন্তু আদৌ কি নিরাপত্তা দিতে সক্ষম এই অ্যাপ? বিশেষজ্ঞ ও আমজনতার একটা বড় অংশের দাবি, অ্যাপটি একেবারে অপ্রয়োজনীয়। জানেন কেন?
কেন্দ্রের তরফে বলা হচ্ছে, সমস্ত নতুন ফোনে আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকবে সঞ্চার সাথী অ্যাপ (Sanchar Saathi)। তাতে ফোন হারালে তা ব্লক করা খুব সহজ হবে। কিন্তু ধরুন আপনার একটিই ফোন। তাতেই ইনস্টল করা সঞ্চার সাথী। সেটি হারালে ব্লক করবেন কী করে? সেক্ষেত্রে অপশন নেই তা নয়। এই ধরনের ঘটনায় ওয়েবসাইট থেকে ব্লক করার সুযোগ রয়েছে। এখানেই প্রশ্ন, তাহলে প্রি-ইনস্টল অ্যাপের প্রয়োজনীয়তা কী?
এখানেই শেষ নয়। বর্তমানে আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড, সবেতেই নিরাপত্তা কয়েকগুণ শক্তিশালী করা হয়েছে। রয়েছে আনব্রেকেবল লক, ট্র্যাকিং ফিচার। 'ফাইন্ড মাই ডিভাইসে'র মতো ফিচার হারানো ফোন খুঁজে পেতে সাহায্য করে। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে তো ফোন সুইচড অফ থাকলেও ট্র্যাক করার সুবিধা রয়েছে। ফলে চুরি করলেও এখন আর ফোন ব্যবহার করতে পারেন না আততায়ীরা। রিপ্লেসমেন্ট পলিসিও রয়েছে অ্যাপলের। সেখানে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন, তাহলে সঞ্চার সাথীর প্রয়োজনীয়তা কী? ফোন ট্রেস করার জন্য এই অ্যাপের থেকে পুলিশে কমপ্লেন করা বেশি কার্যকর বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
প্রসঙ্গত, সোমবার মৌখিকভাবে কেন্দ্র মোবাইল সংস্থাগুলিকে জানিয়ে দেয়, প্রতিটি স্মার্টফোনে বাধ্যতামূলকভাবে ইনস্টল করতে হবে সাইবার নিরাপত্তা অ্যাপ সঞ্চার সাথী (Sanchar Saathi)। চাইলেও যা ডিলিট করতে পারবেন না গ্রাহকরা। বলা হয়, ৯০ দিনের মধ্যে যে সব স্মার্ট ফোন বাজারে নতুন করে আসবে, সমস্ত স্মার্টফোনে এই অ্যাপটি প্রি লোড করতে হবে। কেন্দ্রের দাবি, সাইবার প্রতারণা রোখার পাশাপাশি চুরি বা হারিয়ে যাওয়া ফোন ট্র্যাক, কালোবাজারে নকল ফোন বিক্রি রুখতে কার্যকরী অ্যাপটি। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, সাইবার নিরাপত্তার নামে আসলে আমজনতার ফোনে নজরদারির চেষ্টা করছে মোদি সরকার! প্রবল বিরোধিতার জেরে মঙ্গলবার পিছু হটে কেন্দ্র। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, “এই অ্যাপ সকলের ফোনে রাখাটা আমাদের কর্তব্য। কিন্তু সেটা ফোনে গ্রাহক রাখবেন কিনা, সেটা গ্রাহকের সিদ্ধান্ত।”
