সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের শেষ দিন দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আমাজন, সুইগি, জোমাটো, জেপ্টো, ফ্লিপকার্ট, ব্লিঙ্কিটের মতো ডেলিভারি অ্যাপের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ বড়দিনও তাঁরা ধর্মঘট পালন করেছিলেন। একই দাবিতে ৩১ ডিসেম্বরও বনধ ডাকা হয়েছে।
ঠিক কোন কোন দাবিতে ধর্মঘটের পথে গিগ কর্মীরা? যার মধ্যে অন্যতম কম মজুরি। এছাড়াও রয়েছে 'কুইক সার্ভিস' নিয়ে আপত্তি। তাঁদের দাবি, মিনিট দশেকের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার দ্রুততায় বহু সময় প্রাণ হারান কর্মীরা। আবার ডেলিভারি দিতে একটু দেরি হলেই দিতে হয় কড়া জরিমানা। একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ, নিরাপত্তাহীন কাজের পরিবেশ, সামাজিক সুরক্ষার অভাবের মতো বিষয়ও রয়েছে।
২৫ ডিসেম্বরের বনধে দেশের বহু রাজ্যেই অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল গ্রাহকদের। বিশেষ করে দিল্লি-এনআরসি, তেলেঙ্গানা, গুরুগ্রাম, চেন্নাই, হায়দরাবাদে পরিষেবা থমকে গিয়েছিল পুরোপুরি। তবে বাংলায় বৃহস্পতিবারের ধর্মঘট ছাপ ফেলতে পারেনি। শ্রমিকরা বলছেন, গিগ অর্থনীতির পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হতে থাকায় প্ল্যাটফর্ম কোম্পানিগুলির ওপর চাপ বাড়াতেই বারবার ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, কারণ না দর্শিয়ে ছাঁটাই করা যাবে না। কর্মীদের পিএফ ও বিমার সুবিধা দিতে হবে। কাজে সমস্যা হলে অভিযোগ জানানোর জন্য কোনও প্ল্যাটফর্ম থাকতে হবে। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে সম্মান ও যথোপযুক্ত পারিশ্রমিকের দাবিও করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির আরেক উদ্বেগের কারণ হল অ্যালগরিদম। শ্রমিকদের দাবি, অ্যাপ-ভিত্তিক সিস্টেমগুলি যেভাবে তাঁদের বেতন, ডেলিভারির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা মোটেই স্বচ্ছ নয়।
ধর্মঘট যারা ডেকেছে তাদের মধ্যে রয়েছে তেলেঙ্গনা গিগ অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ওয়াকার্স উনিয়ন। যা সমর্থন করেছে ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাপ বেসড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স। তবে বড়দিনের চেয়ে ৩১ ডিসেম্বরে ধর্মঘট আরও বড় চেহারা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বড়দিনের সময় ৫০% পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছিল। বছরের শেষদিন তা আরও বাড়বে।
