সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুটিং সেরে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। রাস্তাতেই লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল সুচন্দ্রা দাশগুপ্তর। স্ত্রীয়ের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন স্বামী দিবজ্যোতি। মেয়ে চলে যাওয়ার শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন সুচন্দ্রার বাবাও।
দশম শ্রেণীতে পড়াকালীনই মাকে হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তারপর থেকে বাবা প্রণব দাশগুপ্ত-ই ছিল তাঁর কাছে সবকিছু। একা হাতে মেয়েকে মানুষ করেছিলেন। শৈশব থেকেই থিয়েটার-অভিনয়ের প্রতি টান ছিল সুচন্দ্রার। তাই চাকরি পেয়েও সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন শুধুমাত্র অভিনয়ের প্যাশনটাকে জিইয়ে রাখার জন্য। শনিবার রাতে শুটিং থেকে ফেরার সময়ে অ্যাপের মাধ্যমে বাইক বুক করেন অভিনেত্রী। সেই বাইকে করেই বিটি রোডের ওপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
[আরও পড়ুন: শুটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কা, প্রাণ গেল টেলি অভিনেত্রীর]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সুচন্দ্রার মাথায় হেলমেটও ছিল। তবে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যাওয়ার সময় পিছন দিক থেকে লরি এসে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে যায় অভিনেত্রীর দেহ। কিছুতেই স্ত্রীয়ের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না স্বামী দিব্যজ্যোতি। পেশায় আইটি সেক্টরে কর্মরত। তিনি জানালেন, শনিবার রাত পৌনে ১২টা থেকে তিনি এবং সুচন্দ্রার বাবা ফোন করার চেষ্টা করছিলেন। ধরেননি অভিনেত্রী। সুচন্দ্রা কাজে ব্য়স্ত রয়েছে বলে তাই আর বিরক্তও করেননি তাঁরা। ভেবেছিলেন পরে ফোন আসবে। তবে সেই টেলিফোন আর আসেনি।
অনেক রাত পর্যন্ত সুচন্দ্রার ফোন না আসায়, শেষমেশ তাঁর মেসো খড়দহ থানায় ফোন করে। সেখান থেকে বরানগর থানায় যোগাযোগ করে জানা যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর।
প্রসঙ্গত, ‘গৌরী এল’ সিরিয়ালেও একটা ছোট্ট চরিত্রে মাসখানেক আগে দেখা গিয়েছিল সুচন্দ্রা দাশগুপ্তকে। পুলিশ ফাইলস-এর বেশ কয়েকটা পর্বেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় দিব্যজ্যোতির সঙ্গে। মাঝে চাকরির জন্য অভিনয় থেকে বিরতি নিলেও পরে তা ছেড়ে আবার ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাগল শুরু করেন সুচন্দ্রা দাস।
[আরও পড়ুন: ভোজপুরী সিনেপর্দা থেকে সোজা Cannes-এ! ঘোমটা টেনে রেড কার্পেটে স্বপ্না চৌধুরী]
উল্লেখ্য, শনিবার একটা নাটকের শো ছিল অভিনেত্রীর। স্বামীকে এমনটাই জানিয়েছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগণার পানিহাটির বাড়িতে বাবা একা থাকতেন। ওদিকে বিয়ের পর নরেন্দ্রপুরের এক আবাসনে স্বামীর সঙ্গে সংসার পাতেন সুচন্দ্রা। বছর ত্রিসের জ্বলজ্যান্ত মেয়ের চলে যাওয়ায় শোকবিহ্বল প্রণববাবু। ভেঙে পড়েছেন স্বামী দিব্যজ্যোতিও।