সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই শহর জানে তাঁর প্রথম সবকিছু! একদিন ফুটবল পরিক্রমা শুরু হয়েছিল এই তিলোত্তমা থেকেই। শেষটাও হচ্ছে এখানেই। বৃহস্পতিবার গোটা শহর যখন 'সুনীল জ্বরে' আক্রান্ত, তখন 'কথা' সিরিয়ালের শুটিং শেষ করেই যুবভারতীতে ছুটলেন শ্যালক সাহেব ভট্টাচার্য (Saheb Bhattacharya)। ভগ্নিপতির শেষ ম্যাচ বলে কথা, অভিনেতা যে উপস্থিত থাকবেন, সেকথা আগেভাগেই জানিয়ে ছিলেন। কথামতো করলেনও তাই। বৃহস্পতিবার 'খুদে ছেত্রী' অর্থাৎ ভাগ্নে ধ্রবকে নিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে দেখা গেল সাহবকে। সঙ্গে ছিলেন সুনীলপত্নী সোনম ভট্টাচার্যও।
বাবা সুব্রত ভট্টাচার্য অসুস্থতার কারণে এদিন যুবভারতীতে না যেতে পারলেও সাহেব কিন্তু সুনীল ছেত্রীর বিদায়ী ম্যাচ দেখার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। অভিনেতার কথায়, "বাবার খেলা মাঠে বসে দেখতে পারিনি ঠিকই, কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সুনীলের বিদায়ী ম্যাচের সাক্ষী থাকতে চেয়েছিলাম। কোনওরকমেই এটা মিস করতে চাইনি।" সাহেব ভট্টাচার্যর সংযোজন, "উন্মাদনা-আবেগ তো থাকবেই সুনীলকে ঘিরে। আর বাবার শেষ ম্যাচের সাক্ষী থাকবে ছোট ধ্রবও। আমি নিশ্চিত, পরিবারের সকলের চোখ ভিজবে আজ।" ছেলের বিদায়ী ম্যাচ দেখতে হাজির সুনীল ছেত্রীর বাবা খড়্গ ছেত্রী এবং মা সুশীলা ছেত্রীও। দিদার কোলে চেপে ছোট্ট ধ্রুব তখন এদিক-ওদিক তাকিয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে।
যুবভারতীতে শেষ ম্যাচ সুনীলের। ফাইল চিত্র।
[আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে ‘চড়’ মহিলা জওয়ানের, কৃষক আন্দোলনকে ‘খলিস্তানি’ বলার জের!]
সাহেব এও জানালেন যে, বিদায়ী ম্যাচের পর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাবেন সুনীল ছেত্রী। একটা পারিবারিক গেট টুগেদারের প্ল্যানও রয়েছে। ভগ্নিপতিকে নিয়ে আবেগে ভেসে সাহেবের মন্তব্য, "বিগত উনিশ বছরের সফরের ইতি। তাই অবসরজীবনে অভ্যস্ত হতে ওঁর একটু সময় লাগবে ঠিকই। আমি এবং আমরা সকলেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি। ওঁকে বাইরে থেকে যতই শান্ত দেখাক না কেন, ওঁর ভিতরে যে একটা ঝড় চলছে, তা আমি নিশ্চিত।"
দীর্ঘ ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ইতি হচ্ছে আজ। কলকাতা থেকেই ক্লাব ফুটবলের যাত্রা শুরু সুনীলের। দেশের জার্সিতে শেষ ম্যাচেও নামছেন যুবভারতীতেই। তার আগে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সুনীল। তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে আইএফএ। তাঁর ছবি দেওয়া মুখোশ বিলি হবে দর্শকদের মধ্যে। প্রায় ষাট হাজার ‘সুনীলে’ ভরে উঠবে যুবভারতী। এদিন স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ফুটবল কিংবদন্তীকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।