সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের টিআরপি তালিকায় প্রথম দশের মধ্যে থাকে 'গীতা এলএলবি'। এই সিরিয়ালের হিন্দি সংস্করণের কাজ শুরু করেছিলেন প্রযোজক-পরিচালক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কিন্তু শুটিংয়ের শুরুতেই ধাক্কা। জানা গিয়েছে, শুটিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান কলাকুশলীরা।
ছবি: ফেসবুক
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে স্নেহাশিস জানান, সকালে শুটিং ভালোভাবেই শুরু হয়েছিল। তার পর হয় লাঞ্চ ব্রেক। এর পর আচমকাই সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান কলাকুশলীরা। কাউকে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করেননি। কিন্তু কেন এমনটা হয়েছে? তার উত্তরে সংবাদমাধ্যমকে স্বরূপ বিশ্বাস জানান, এখন প্রায় সমস্ত চ্যানেল তাদের সিরিয়াল ওয়েব প্ল্যাটফর্মে দেখিয়ে দিচ্ছে। এতে সিরিয়ালের টিআরপির উপর প্রভাব পড়ছে। ছোটপর্দাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্বরূপ বিশ্বাস জানান, এমন সম্প্রচার বন্ধ করার করার নির্দেশ দিয়েছিল ফেডারেশন। এ বিষয়ে অন্যান্য চ্যানেল ফেডারেশনের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেছে। কিন্তু স্নেহাশিস যে চ্যানেল হয়ে কাজ করেন তাদের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেই কারণেই শুটিং বন্ধের নির্দেশ। নতুন এই হিন্দি সিরিয়াল OTT-তে না দেখানোর কথা লিখিতভাবে জানালেই আবার শুটিং শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘২১ জুলাইয়ের সমাবেশের রাশ সামলাতে হবে রেলকেই’, সাফ কথা মমতার]
স্বরূপ বিশ্বাস মনে করেন, স্নেহাশিস চক্রবর্তী অত্যন্ত ভালো মানুষ। সম্ভবত তিনি চ্যানেল ও ফেডারেশনের এই বিষয়টি জানতেন না। এবিষয়ে যে কোনও সময় তিনি প্রযোজক-পরিচালকের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। অন্যদিকে স্নেহাশিস জানান, কলকাতার চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তাঁকে কিছুই জানায়নি। তিনি তিন মাস ধরে কলাকুশলীদের নিয়ে মহড়া দিচ্ছিলেন। জাতীয় স্তরের চ্যানেল তাঁকে মুম্বইয়ে শুটিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তিনি বড় মুখ করে কলকাতায় শুটিং করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। এখন তাঁরই মুখ পুড়ল বলে মনে করছেন প্রযোজক-পরিচালক। শহরের একাধিক জায়গায় শুটিং করার জন্য তিনি অগ্রিম দিয়ে রেখেছেন বলেও জানান।
উল্লেখ্য, 'গীতা এলএলবি'র হিন্দি সংস্করণে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করার কথা শ্রীতমা দের। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, মেঘনা হালদার, অসীম চৌধুরী। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই ছোটপর্দায় আসার কথা শকুন্তলা বড়ুয়ার। মুম্বইয়ের একাধিক শিল্পীকেও দেখা যাবে বলে খবর।