shono
Advertisement

সিধু মুসেওয়ালা খুনে অভিযুক্তর রহস্যমৃত্যু পাকিস্তানে, নাম ছিল NIA’র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাতেও

জহুর মিস্ত্রি, রিপুদমন সিংহ মালিক, লাল মহম্মদের পর আরও এক জঙ্গির রহস্যমৃত্যু।
Posted: 02:09 PM Nov 20, 2022Updated: 02:10 PM Nov 20, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রহস্যমৃত্যু এনআইএর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা জেহাদির। পাকিস্তানের মাটিতে মৃত্যু হয়েছে খলিস্তানি জঙ্গি হরিন্দর সিং রিন্ডার। সম্প্রতি পাঞ্জাবের গোয়েন্দা দপ্তরে হামলা, পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর মতো একাধিক কুকীর্তিতে নাম জড়িয়েছিল তার। রিন্ডার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ধার্য করেছিল এনআইএ। রহস্যজনকভাবে সেই জেহাদির মৃত্যু হল পাকিস্তানে।

Advertisement

সূত্রের খবর, রিন্ডার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। গ্যাংস্টার দাভিন্দর ভাম্বিয়ার গোষ্ঠী সোশ্যাল মিডিয়ায় হত্যার দায় স্বীকার করেছে। যদিও অন্য একটি সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির রোগে ভুগছিল রিন্ডা। গত ১৫ দিন যাবৎ লাহোরের হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিল সে। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

পাঞ্জাবের তরন তারন এলাকার বাসিন্দা হরিন্দর সিং রিন্ডা। ২০০৮ সালে ব্যক্তিগত আক্রোশে এক প্রতিবেশীকে খুন করে অপরাধ জগতে হাত পাকানো শুরু করে। চণ্ডিগড়ের হোসিয়ারপুরে প্রকাশ্যে এক পঞ্চায়েত প্রধান সৎনাম সিংকে খুন করে প্রথমবার খবরে এসেছিল সে। এরপর একের পর এক কুকীর্তিতে নাম জড়াতে থাকে রিন্ডার। পুলিশ সূত্রে খবর, পাক জেহাদি গোষ্ঠী ও এ দেশের গ্যাংস্টার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার কাজ করত সে। সীমান্তের ওপাড় থেকে এদেশে অস্ত্র, নেশার দ্রব্য পাচারের মতো কাজ সামলাত এই কুখ্যাত জেহাদি। এরপর চলতি বছরে চন্ডিগড়ে পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরে প্রপেলড রকেটে হামলা, লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় হাত ছিল রিন্ডার। মে মাসে হরিয়ানার একটি গাড়ি থেকে বিপুল বিস্ফোরক ও নেশার দ্রব্য উদ্ধার হয়েছিল, সেই মামলার চার্জশিটেও নাম রয়েছে তার। পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল তার। এধরনের ৩০টি মামলাতেও নাম জড়িয়েছে তার।

[আরও পড়ুন: সব লড়াই শেষ, না ফেরার দেশে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা]

এনআইয়ের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে নাম ছিল রিন্ডার। তার খোঁজ চালাচ্ছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা। এর মাঝেই পাকিস্তানে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল তার। উল্লেখ্য, জহুর মিস্ত্রি, রিপুদমন সিংহ মালিক, লাল মহম্মদের মতো একের পর এক সন্ত্রাসবাদীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

১৯৯৯-এর কান্দাহার বিমান হাইজ্যাক কাণ্ডের অন্যতম খলনায়ক ছিল জহুর মিস্ত্রি। কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সৈয়দকে জেল থেকে ছাড়াবার জন্য বিমান হাইজ্যাক করেছিল জঙ্গিরা। সেই হাইজ্যাকারদের অন্যতম মাথা পাকিস্তানি জহুর মিস্ত্রিকে গত মার্চে পাকিস্তানের বুকে দাঁড়িয়ে, গুলি করে মারে দুই বাইক আরোহী দুষ্কৃতী।

১৯৮৫ সালের ২৩ জুন দিল্লি থেকে কানাডার মন্ট্রিয়লগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৮২ কণিষ্ক বিমানে মাঝ আকাশে বোমা বিস্ফো’রণ ঘটেছিল। প্রাণ গিয়েছিল ৩৩১ জনের। অভিযুক্ত হিসেবে খালিস্তনি সমর্থক রিপুদমন সিংহ মালিক, ইন্দ্রজিৎ সিংহ রেয়াত এবং আজেইব সিংহ বাগরির নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। কিছুদিন আগে কানাডায় রিপুদমন সিংহ মালিককে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। একই কায়দায় নেপালে খুন হয় লাল মহম্মদ। এবার তালিকায় জুড়ল হরিন্দর সিং রিন্ডার নামও।

[আরও পড়ুন: সৌমিত্র খাঁ’র পর অমরনাথ শাখা, পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবিতে সরব ওন্দার বিজেপি বিধায়ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement