shono
Advertisement
BSF

যে কোনও মুহূর্তে ভারতে ঢুকতে পারে বাংলাদেশের জেল পালানো জেহাদিরা! সতর্ক করছে BSF

এমন অস্থির পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা কী করবেন, কী করবেন না।
Published By: Paramita PaulPosted: 10:10 AM Aug 08, 2024Updated: 10:10 AM Aug 08, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৈরাজ্য চলছে বাংলাদেশে। হিংসার পাশাপাশি ভাঙা হচ্ছে জেলও। সেখান থেকে চম্পট দিয়েছে শয়ে-শয়ে আসামী। যাদের মধ্যে জেহাদিও রয়েছে বহু। জেল পালানো সেই সমস্ত জেএমবি, আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকতে পারে এ দেশে। এমনই আশঙ্কা করছে সীমান্তরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন তাঁরা। বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এমন অস্থির পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা কী করবেন, কী করবেন না।

Advertisement

বাংলা, অসম, মণিপুর, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে বাংলাদেশি সীমান্ত রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকতে পারে বহু শরণার্থী। তাদের সঙ্গে সীমানা পার করতে পারে জঙ্গিরাও। এদেশে ঢুকে বাংলা-সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যের আশ্রয় নিতে পারে তারা। ছড়িয়ে পড়তে পারে দিল্লি-সহ একাধিক শহরে। নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালাতে পারে তারা। তৈরি করতে পারে স্লিপার সেলও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে কারা সরকার গড়বে, সেদিকে নজর রাখবে তারা। নমনীয় সরকার তৈরি হলে তারা সে দেশে ফিরতে পারে। নয়তো এ দেশের নিরাপদ আশ্রয় ঠাঁই নেবে তারা। সঙ্গে সঙ্গে এদেশের বিভিন্ন প্রান্তে চালাতে পারে নাশকতা। যা এ দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপদ ডেকে আনবে। এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা জানিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ।

বিএসএফের ৯৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমানডেন্ট মনোজ কুমার জানাচ্ছেন, জেলভাঙা জামাত জঙ্গিরা যে কোনও সময় ভারতের সীমান্ত পার হতে পারে। খাড়িজা বেরুবাড়ির ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন সর্দার পাড়ার গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসএফ। সেখানে বিএসএফ কর্তারা জানান, এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই। তাই সীমান্ত এলাকায় গবাদি পশু ছেড়ে দেবেন না। কেউ আর্থিক প্রলোভন দিয়ে রাতে আশ্রয় দিতে বলে তবে সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফকে জানাবেন।

অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায় জলপথে হাই অ্যালার্ট জারি করেছিল প্রশাসন। চলছিল উপকূলরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারি। বাংলাদেশ সীমানা লাগোয়া সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রপথে টহলদারি আরও জোরদার করা হয়। ফ্রেজারগঞ্জে বঙ্গোপসাগর থেকে মোহনায় প্রবেশমুখেই নজরদারি চালাচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হোভার ক্রাফট। উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি সুন্দরবন এলাকার উপকূলীয় বিভিন্ন থানার পুলিশ ও টহলদারিতে নেমেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement