সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস (Hathras) কাণ্ডের মামলা সরিয়ে নেওয়া হতে পারে উত্তরপ্রদেশেরই (Uttar Pradesh) অন্য আদালতে। মৃতার পরিবার এবং তাদের আইনজীবীকে নাকি হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) লখনউ বেঞ্চ, হাথরাসে গণধর্ষণ এবং তার পর সেই মহিলার মৃত্যুর মামলার বিচার প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখছে। সেই লখনউ বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই মামলা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বাইরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে। সম্প্রতি মৃত মহিলার ভাই হলফনামা দিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর পরিবার এবং তাঁদের আইনজীবীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকী আক্রমণের মুখেও পড়তে হচ্ছে। সেই হলফনামার প্রেক্ষিতেই লখনউ বেঞ্চ মামলা সরানোর কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে তথাকথিত এক দলিত মহিলাকে তথাকথিত উচ্চবর্ণের ৪ জন মিলে ধর্ষণ করে খুন করে বলে অভিযোগ। গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর সেই ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রচুর জলঘোলা হয়। বিতর্কের মাঝেই মৃতার পরিবারকে না জানিয়ে প্রায় সবার নজর এড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর মহিলার অন্তেষ্টিক্রিয়া করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার জেরেও দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি ছিল, মৃতার পরিবারের অনুমতি নিয়েই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধী দলের নেতা থেকে সাধারণ মানুষ। বিজেপি শাসিত যোগীর রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
[আরও পড়ুন: ‘দেশটা বিক্রি করে দেবে মোদি সরকার’, কর্ণাটকের কৃষকসভায় বিস্ফোরক রাকেশ টিকাইত]
শেষ পর্যন্ত হাথরাস মামলা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের কাছে যায়। ৪ অভিযুক্তই গ্রেপ্তার হয়। মামলা চলছে হাথরাসের বিশেষ আদালতে। সেই মামলার মাঝেই ৫ মার্চ এলাহাবাদ হাই কোর্টে মৃতার ভাই হলফনামা দিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর পরিবার এবং তাঁদের আইনজীবীকে ভয় দেখানো হচ্ছে। মৃতার পরিবারের তরফে বিস্তারিত জানানো হয়েছে কীভাবে তাদের এবং তাদের আইনজীবীকেও হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। সম্প্রতি শুনানি চলার সময় এক দল লোক কোর্ট রুমে ঢুকে পড়েন। তাঁরা আভিযোগকারীদের ঘিরে ধরে হুমকি দিতে শুরু করেন। হুমকি দেওয়া হয় অভিযোগকারীদের আইনজীবীকেও। ফলে শুনানি থামিয়ে দিতে হয়। এরপর থেকে অভিযোগকারীদের আইনজীবী ভয়ে আর আদালতে যাচ্ছেন না।
[আরও পড়ুন : ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ৪৩ হাজার, অ্যাকটিভ কেস ৩ লক্ষেরও বেশি]
গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টের ২ বিচারপতির বেঞ্চ বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই মামলা সরানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এর মধ্যে আবার জানা গিয়েছে, সিবিআইও (CBI) এই মামলা হাথরাস বিশেষ আদালত থেকে উত্তরপ্রদেশের অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করতে পারে।