সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুড ফ্রাই ডে (Good Friday) উপলক্ষে রয়েছে টানা তিনদিন ছুটি। আর ক্যালেন্ডার দেখার পর থেকেই কি মনটা উড়ুউড়ু করছে? মনে হচ্ছে প্রিয়জন-পরিজনকে নিয়ে অথবা একা বেরিয়ে আসি? তাহলে আর দেরি কীসের, শুক্র-শনি ও রবিবারে ছুটিতে বেড়িয়ে আসুন এই জায়গাগুলি থেকে।
গুড ফ্রাই ডে মানেই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উৎসব। কিন্তু কথায় আছে, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”। সে কথা মাথায় রেখেই না হয় এবার বেড়ানোর তালিকা তৈরি হোক। বেড়ানোর পাশাপাশি জেনে নেওয়া যেতে পারে প্রাচীন এই ধর্মের ইতিহাস। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে থাকা সেই চার্চগুলোর ইতিহাসও জেনে নিতে পারেন।
[আরও পড়ুন: সিকিমে প্রবল তুষারঝড়ের কবলে ৩৫০ পর্যটক, আটকে বাঙালিরাও, কমপক্ষে মৃত ৬]
ব্যাসিলিকা বোম জেসাস
তিনদিনের ছুটিতে পুরো গোয়া বেড়ানো কার্যত অসম্ভব। কিন্তু কান পেতে ইতিহাস শুনতে হলে পৌঁছে যান ব্যাসিলিকা বোম জেসাসে। যেখানে ৫ ধরনের প্রাচীন গঠনশৈলী একসঙ্গে দেখতে পাবেন-রোমান, আইওনিক, ডোরিক, কোরিনথিয়ান ও কম্পোজিট। গির্জার মেঝেতে রয়েছে মার্বেল। আর দেওয়ালে রয়েছে বহু মূল্যবান পাথর। চোখ ধাঁধিয়ে দিতে পারে গির্জার অন্দরসজ্জা। তাই গোয়ার সমুদ্রের ধারে বসে প্রিয়জনের সঙ্গে সূর্যাস্ত দেখার আগে বেরিয়ে আসতেই পারেন ব্যাসিলিকা বোম জেসাস থেকে।
সে ক্যাথিড্রাল চার্চ
হাতে আরও একদিন সময় থাকলে পর্তুগিজ গঠনশৈলিতে তৈরি সে ক্যাথিড্রাল চার্চ থেকেও বেড়িয়ে আসতে পারেন। গির্জার সামনের অংশ দেখে মন জুড়িয়ে যাবেই। গোয়ায় পৌঁছে রোড ট্রিপে চলে যান সে ক্যাথিড্রাল চার্চে। এরপর হেঁটে ঘুরে দেখুন গোটা চার্চ। কান পাতলেই শুনতে পাবেন পতুর্গিজ ইতিহাসের অনের হারিয়ে যাওয়া কথা।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়’, সিলেবাস থেকে মুঘল ইতিহাস মোছা নিয়ে সাফাই NCERT-র]
ক্রাইস্ট চার্চ
বাংলায় গরম ক্রমশ বাড়ছে। এই সময় মনটা বড্ড পাহাড় পাহাড় করে। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে ওঠে শ্বেতশুভ্র পাহাড়ের ছবি। ছুটি নিয়ে শিমলা বেরিয়ে এলে কেমন হয়? তবে এক কম ছুটি শিমলায় বড় ট্রিপ করা কঠিন। তাই শুধুমাত্র শিমলায় থেকে ঘুরে নিতে পারেন উত্তর ভারতে দ্বিতীয় প্রাচীন গির্জা- দ্য ক্রাইস্ট চার্চ। ১৮৫৭ সালে নিও গথলিক রীতিতে তৈরি হয়েছে গির্জাটি। কাঁচের জানলাগুলিও কাড়বে মন।
তবে এই ঝটিকা সফরের জন্য় পকেটের রেস্ত থাকা কিন্তু দরকার। বিমানে যাতায়াত ছাড়া এত কম সময় বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়।