রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। ইদ উপলক্ষে নতুন ফ্যাশন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রমজান মাস পড়তেই নানা ডিজাইনের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে ইদের বাজারে। আর সেই চাহিদা মেটাতে পুরোদমে কাজও শুরু হয়েছে কালনার তাঁতবলয়ে। নানা ফ্যাশনের পোশাকের সঙ্গে তাঁতের শাড়ি তৈরিতে লেগে পড়েছেন তাঁতশিল্পীরা। আবার হাতে আঁকা ডিজাইনিং প্রিন্টেড শাড়িও বাজার ধরতে শুরু করেছে। রঙিন ফেব্রিকে শিল্পীদের হাতের কারুকাজে ফুল, পাখি, থেকে নানা রঙিন ডিজাইনই বেশি পছন্দ করছেন ক্রেতারা। ঐতিহ্যের তাঁতের সঙ্গে ফ্যাশনেবল ডিজাইনার শাড়ির এবার জোর টক্কর ইদের বাজারে।
[ আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা-দীপিকার ফ্যাশন নিয়ে চর্চা, মেট গালার প্রবেশমূল্য কত জানেন? ]
ইদকে সামনে রেখে কেনাকাটাও শুরু করেছেন মহিলারা। রমজানের প্রথম দিন থেকেই লেটেস্ট ফ্যাশনে চোখ রাখছেন তাঁরা। অনলাইন শপিং থেকে পাড়ার দোকান – বাদ নেই কিছুই। এর মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়েছে ডিজাইনার শাড়ি। হাতে তৈরি প্রিন্টেড শাড়িতেই পাইকারি ক্রেতাদের বিশেষ চাহিদা। কালনার সমুদ্রগড়, নাদনঘাটের বিখ্যাত তাঁত শাড়ির সঙ্গে বাজার পাচ্ছে এই প্রিন্টেড শাড়িও। ইতিমধ্যেই বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে কেরালা কটন, মলমল, পলিয়েস্টার, মধ্যমণি শাড়ি। আর দামেও তাঁতের থেকে কম। যেখানে একটি তাঁতের ডিজাইনার শাড়ির দাম সাতশো থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বা তারও বেশি দাম। সেখানেই পাঁচশো থেকে হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে এই ডিজাইনার প্রিন্টেড শাড়ি। তাই এখন রাতদিন এক করে ফেব্রিক দিয়ে শাড়িতে ছবি এঁকে নানা ডিজাইন তুলছেন শিল্পীরা।
কালনার ঠাকুরপাড়া থেকে সেই শাড়ি পৌঁছচ্ছে সমুদ্রগড় ও নদিয়ার শাড়ির বাজারে। যা আবার চলে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে। তাই রাতদিন কাপড়ে সুতো তোলা, সুতো রঙ করা আর শাড়ি বুনন ও নকশার কাজে ব্যস্ততায় সময় কাটছে সমস্ত কারিগরদের। শিল্পী মানিক দাস বলেন, “কয়েক বছর আগে থেকেই এই শাড়ি তৈরি হচ্ছে কালনায়। যা খুবই পছন্দ করছেন ক্রেতারা। তাই চাহিদাও প্রচুর। লাভও খুব বেশি।” এসব শাড়িকে সামনে রেখেই তাই ইদে বাড়তি মুনাফার আশায় বুক বাঁধছেন তাঁতশিল্পীরা৷
[ আরও পড়ুন: এই গরমে পার্টি! স্টাইল বজায় রেখে মজায় মাতুন এই পোশাকে ]
The post ঐতিহ্যের তাঁত নাকি হাল আমলের ডিজাইনার শাড়ি, ইদের ফ্যাশনে এগিয়ে কে? appeared first on Sangbad Pratidin.