shono
Advertisement

Breaking News

ভারতীয় Hockey তারকা বন্দনার পরিবারকে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য, পুলিশের জালে আরও ১

বন্দনার পাশে দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হকি দলের ক্যাপ্টেন রানি রামপল।
Posted: 01:51 PM Aug 07, 2021Updated: 02:06 PM Aug 07, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics 2020) অংশ নেওয়া হকি তারকা বন্দনা কাটারিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। ঘটনার পর থেকেই নিন্দার ঝড় ওঠে। এই অভিযোগে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দু’জনকে। শনিবার পুলিশের জালে এল আরও এক অভিযুক্ত। সমাজের এই ধরনের হীনমন্য লোকগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মহিলা হকি দলের ক্যাপ্টেন রানি রামপল।

Advertisement

ঘটনা দিন চারেক আগের। টোকিওয় হকির (Hockey) শেষ চারে ভারত-আর্জেন্টিনা ম্যাচের পরপরই শিরোনামে উঠে আসে বিষয়টি। হরিদ্বারের রোশনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা বন্দনা। অভিযোগ, ম্যাচে বন্দনারা হারতেই আশেপাশের ‘উঁচু’ জাতের কয়েকজন নিজেদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে উল্লাস করতে থাকেন। ভারতের হারে বাজি পোড়ানো থেকে শুরু করে বন্দনাদের পরিবারের উদ্দেশে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যও করতে থাকেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, ভারতীয় হকি দলে এবং টোকিওয় খেলতে যাওয়া দলে দলিতরা বেশি সংখ্যায় থাকার কারণেই এই হার বলে কটাক্ষ করা হয়। এমনকী ভারতীয় দলে দলিতদের নেওয়া উচিত নয়, সেকথাও বলতে শোনা যায় ওই ব্যক্তিদের।

[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: একটুর জন্য অধরা ইতিহাস, চতুর্থ স্থানে শেষ করে পদক হাতছাড়া অদিতির]

গত বুধবার থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ জানান বন্দনার (Vandana Katariya) ভাই চন্দ্র শেখর। তদন্তে নেমে গত বৃহস্পতিবার অঙ্কুরপাল ও বিজয়পালকে গ্রেপ্তার করে হরিদ্বার পুলিশ। শনিবার সুমিত চৌহান নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হল।

এদিকে বন্দনার পাশে দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রানি রামপল (Rani Rampal)। বলে দেন, “বন্দনার বাড়ির লোকজনদের যে পরিস্থিতির শিকার হতে হল, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সম্প্রতি ওর বাবা মারা গিয়েছেন। অলিম্পিকে ভাল পারফর্ম করার জন্য বাবার শেষকৃত্যে পর্যন্ত যায়নি বন্দনা। আর তার মধ্যেই এই সব। একজন অ্যাথলিটের আত্মত্যাগের মর্যাদাই বোঝে না সমাজের ওই মানুষগুলো।”

এই পরিস্থিতির মধ্যেই আবার বন্দনা এদিন জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে নানা ধরনের পোস্ট করা হচ্ছে। যার পরই এর বিরুদ্ধে সুর চড়ান সমর্থকরা। বিতর্ক দানা বাঁধার পর শেষমেশ টুইটার থেকে সেসব অ্যাকাউন্ট ডিলিট করা হয়েছে। নেটিজেনদের সমর্থনকে ধন্যবাদ জানান বন্দনা।

[আরও পড়ুন: চুক্তি নিয়ে অব্যাহত জটিলতা, তার মধ্যেই ট্রান্সফার ব্যানের কবলে East Bengal]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement