শেখর চন্দ, আসানসোল: বাংলার অন্যতম সিদ্ধপিঠ কল্যাণেশ্বরী। বছরভর দিনের বেলা সন্ধ্যারতি হয় সেখানে। সেই আরতি দেখতে ভিড় জমান দূর-দূরান্তের মানুষ। তবে কালীপুজোর (Kali Puja) দিন শুধুমাত্র রাতে আরতি করা হয়।বহু প্রাচীন ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই পুজোর সঙ্গে।
রাজা বল্লাল সেনের আমলে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন কাপালিক দেবীদাস চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে আসানসোল (Asansol) ঝাড়খণ্ডের শেষ সীমানায় মাইথনের কাছে কল্যাণেশ্বরীর পুজোর আয়োজন করা হয় রীতি মেনে। সারা বছর দেবীর আরতি হয় দুপুরে। শুধুমাত্র কালীপুজোয় আরতি হয় রাতে। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে।
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের গোড়াতেই অফলাইন ক্লাস শুরু বিশ্বভারতীতে, যোগ দিতে পারবেন না সব পড়ুয়া]
বহু অলৌকিক ঘটনা আর গল্পগাথা রয়েছে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরকে ঘিরে। এই সব ঘটনা শোনার জন্য ভক্তরা আজও ভিড় করেন মন্দির প্রাঙ্গণে। পাহাড় কেটে মন্দির বানানো হয়েছে। কথিত রয়েছে, এখানে গুহার মুখে দেবী অধিষ্ঠিত। মা কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে কোনও মূর্তি পুজো হয় না। রত্নখচিত মূর্তি রয়েছে ওই গুহার নিচে। রাজা বা রাজপাট না থাকলেও, এখনও কাশীপুরের রাজবাড়ি থেকেই পাঠানো হয় নৈবেদ্য। প্রায় ৯ শতকের এই পুজোয় রাজার নামেই প্রথম সংকল্প করা হয়।