সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ততই ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি আমরা। অফিসের ব্যস্ততার মাঝে নিজের জন্য সময় বের করাও দায়। এই পরিস্থিতিতে অনেক বেশি যন্ত্রনির্ভর জীবন হয়ে উঠছে আমাদের। ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ছাড়া বাড়ি যেন সোনার পাথরবাটির মতো। কিন্তু জানেন কি, রান্নাঘরে থাকা এমনই সাতটি উপকারী সামগ্রী নিঃশব্দে আপনার ক্ষতি করে চলেছে। যার ফলে হতে পারে প্রাণহানি।
রোজ বাজার যাওয়ার সময় পান না অনেকেই। তাই একদিনেই গোটা সপ্তাহের বাজার করে রাখেন অনেকেই। আর সপ্তাহখানেকের বাজারকে টাটকা তরতাজা রাখার গুরুদায়িত্ব ফ্রিজের কাঁধে। তবে জানেন কি ফ্রিজ থেকে নির্গত ক্লোরো ফ্লুরো কার্বনের ফলে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তীব্র মাথা যন্ত্রণার সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।
[আরও পড়ুন: যৌনজীবন স্বাভাবিক করতে ৪ গুণ ভায়াগ্রা সেবন, একটানা ২০ দিন উত্থিত হয়ে রইল পুরুষাঙ্গ, তারপর…]
কম খাটুনিতে গরম খাবারদাবার খাওয়ার জন্য মাইক্রোওয়েভের কোনও বিকল্প হতে পারে না। কিন্তু মাইক্রোওয়েভ থেকে নির্গত রশ্মি যে নিশ্চুপে আপনার ক্ষতি করে চলেছে, তা নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারছেন না। মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করবেন না, তা তো হতে পারে না। বরং মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের আগে নিশ্চিত হোন, যে বাসনপত্র ব্যবহার করছেন সেগুলি ঠিকঠাক কিনা।
অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র আমরা সারাক্ষণই ব্যবহার করি। জানেন কি, এই বাসনেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। কারণ, অ্যালুমিনিয়ামের বাসন থেকে নির্গত ক্যাডমিয়াম শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।
খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সোডিয়াম বেনজোয়েট ব্যবহার করা হয়। কোনও খাবারে ০.১ শতাংশের বেশি সোডিয়াম বেনজোয়েট ব্যবহার করলে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। যার ফলে অ্যালার্জি এবং ক্যানসারের মতো রোগ হতে পারে। খাবারে ৩ গ্রামেরও বেশি এমএসজি ব্যবহারও ডেকে আনতে পারে বিপদ। এমএসজির ফলে হৃদরোগ এবং অ্যালার্জি হতে পারে।
আধুনিক রান্নাঘরে এয়ার ফ্রায়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই বৈদ্যুতিক যন্ত্রেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। প্রাণঘাতী রোগের সম্ভাবনাও থাকতে পারে।
বেশিরভাগ রান্নাঘরেই এখন সরষের তেলের অধিকাংশ জায়গাই দখল করে নিয়েছে রিফাইন্ড অয়েল। অনেক সময় ভাজাভুজির পর রিফাইন্ড অয়েল রেখে দিই আমরা। পরবর্তী রান্নাবান্নায় বেঁচে যাওয়া তেল ব্যবহার করা হয়। এই অভ্যাস কি আপনারও রয়েছে? তবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন আপনিও। কারণ, পোড়া রিফাইন্ড অয়েল ব্যবহারে ক্যানসার হতে পারে।