সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর ফেসবুক, টুইটার-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা অসংখ্য কর্মী ছাঁটাই করেছিল। সেই ধারা অব্যাহত রইল নতুন বছরেও। এবার অনলাইন রিটেল সংস্থা আমাজনের (Amazon) কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ। খুব শীঘ্রই ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে তারা, সংস্থার তরফে এই ঘোষণা করা হল বুধবার। কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে দায়ী করা হয়েছে। আমাজন কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
সংস্থার বক্তব্য, কোভিড মহামারীর সময়ে নতুন করে প্রচুর কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় অনলাইন বাজার ছিল তুঙ্গে। বিপুল চাহিদা ছিল। কিন্ত পরিবর্তীকালে সেই চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। এই অবস্থায় কর্মী ছাঁটাই করতে হচ্ছে তাদের। এক বিবৃতিতে আমাজনের সিইও অ্যান্ডি জস্সি জানান, “নভেম্বরেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা ১৮ হাজার পদ বিলুপ্ত করব।” সূত্রের খবর, এর ফলে অধিকাংশ ইউরোপের কর্মী কাজ হারাতে চলেছেন। চাকরি হারাতে চলা কর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে অ্যান্ডি বলেন, “কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়বেন ওই কর্মীরা। সহজে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।” সংস্থার তরফে আমাজন সিইও নিশ্চিত করেছেন, অবসরকালীন যাবতীয় সুবিধা দেওয়া হবে কর্মীদের। নতুন চাকরির পেতে যাতে করে সুবিধা হয় তাও দেখা হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসেই ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল আমাজন।
[আরও পড়ুন: একটা গরুও যেন ঠান্ডায় না মরে, আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ যোগীর]
এদিকে ২০২৩ সালে অন্তত ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে গুগল। ইতিমধ্যেই ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। চাকরি হারানোর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা বিপুল কর্মীদের শেষ ভরসা গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai)। কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখে নিজেদের অবস্থা তুলে ধরেছেন একাধিক গুগল কর্মী। যে পদ্ধতিতে ছাঁটাই করা হতে পারে, সেই নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মচারীরা। তবে খরচ কমাতে বদ্ধপরিকর গুগলের কর্তারা। এহেন পরিস্থিতিতে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারবেন পিচাই? তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।