সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯-এর ২ আগস্ট জঙ্গি হানার আশঙ্কায় মাঝপথে বন্ধ হয় অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)। গত দু’বছর করোনার (Covid) কারণে প্রতীকী যাত্রা হলেও সাধারণ পূণ্যার্থীরা তীর্থযাত্রার সুযোগ পাননি। বর্তমান মহামারীর প্রকোপ কমেছে। এই অবস্থায় ঘোষণা করা হল, এবার অমরনাথ যাত্রা শুরু হবে ৩০ জুনে। আজ জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কার্যালয়ের তরফে টুইট করে একথা জানানো হয়েছে। দু’বছর পর পূর্ণাঙ্গ যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে উপত্যকায়।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কার্যালয়ের টুইটে আরও জানানো হয়েছে, এবার যাত্রা চলবে ৪৩ দিন। এদিন অমরনাথজি স্রাইন বোর্ডের (Shri Amarnathji Shrine Board) বৈঠকের পর জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার (Manoj Sinha) কার্যালয়ের টুইটে বলা হয়, “এবারের ৪৩ দিনের পবিত্র তীর্থযাত্রা শুরু হবে ৩০ জুনে। সমস্ত কোভিড বিধিনিষেধ মানা হবে যাত্রায়। ঐতিহ্য অনুসারে রাখি বন্ধনের দিনে শেষ হবে যাত্রা। আসন্ন তীর্থযাত্রা নিয়েও আলাপ-আলোচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: এবার গ্রামে গ্রামে মিলতে পারে আইনি পরিষেবা, অভিনব প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির]
উল্লেখ্য, করোনার (Corona virus) কারণে গত ১৫০ বছরে প্রথমবার যাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছিল ২০০০ সালে। এরপর একই কারণে যাত্রা বাতিল হয় গত বছরেও। কেবল কয়েকজন সাধুকে যাত্রার অনুমতি দেওয়া হয় এই দু’বছরে। এর আগে ২০১৯ সালে জঙ্গি হানার ভয়ে মাঝপথেই যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ৩ দিন পরেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়। ফলে কার্যত ৩ বছর পর সম্পূর্ণ রূপে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: নিমেষে গুঁড়িয়ে দেবে শত্রুর মিসাইল, অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ ভারতের]
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরে হিমালয়ের কোলে, অমরনাথ গুহায় পবিত্র তুষার শিবলিঙ্গের দর্শন পেতে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ হিন্দু পূণ্যার্থী চড়াই উতরাই পেরিয়ে ৩ হাজার ৮৮০ মিটার উঁচুতে পৌঁছে যান। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর যাত্রা বন্ধ রাখা হলেও তার আগে ২০১৫ সালে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার, ২০১৬ সালে ৩ লক্ষ ২০ হাজার, ২০১৭ সালে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার, ২০১৮ সালে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার, ২০১৯ সালে ৩ লক্ষ ৪২ হাজার তীর্থযাত্রী অমরনাথ দর্শনে যান। উল্লেখ্য, অমরনাথ যাত্রার দেখভালে ২০০০ সালে গঠিত হয় অমরনাথজি স্রাইন বোর্ড। এইসঙ্গে এই বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থীর তীর্থযাত্রায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।