দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councilor)অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে আরও তিনজন। এরাই মূল অভিযুক্ত সন্দেহে ধৃত সুপারি কিলার শম্ভু ওরফে অমিত পণ্ডিতকে খুনের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল বলে অভিযোগ। মূল অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতে সোমবার রাতে বারুইপুর এলাকায় অভিযান চালান বারাকপুর (Barrackpore)পুলিশ কমিশনারেটের তদন্তকারীরা। তাতেই ধরা পড়ে তিনজন। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা। এই নিয়ে খুনের ঘটনায় মোট ৬ জনকে জালে আনল পুলিশ।
রবিবার সন্ধেবেলা খড়দহের দোকানে কেনাকাটা সেরে বাইকে ওঠামাত্রই নবনির্বাচিত কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে এক আততায়ী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের। ঘটনার তদন্তে নেমে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রাতারাতি মূল অভিযুক্ত সন্দেহে শম্ভু ওরফে অমিত পণ্ডিতকে গ্রেপ্তার করে বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পর জামাকাপড় বদলে, হোগলা বনে গা ঢাকা দিয়েও সে পার পায়নি। সোমবার বিকেলে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অমিত পণ্ডিতকে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও স্ত্রী, মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী যুবক]
তদন্তকারীদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে অমিত পণ্ডিত জানায়, কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুনের জন্য সে বারুইপুরের তিনজনের থেকে অস্ত্র কিনেছিল। এই তথ্য পেয়েই সোমবার রাতের দিকে অমিতকে সঙ্গে নিয়েই বারুইপুর (Baruipur) এলাকায় অভিযান চালান বারাকপুর কমিশনারেটের তদন্তকারীরা। ফুলবাগান ও খোদার বাজার তল্লাশি চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। অমিতই তাদের চিনিয়ে দেয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এরা অমিতকে খুনের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল বলে অভিযোগ। তিনজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বারাকপুরে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ। তদন্তের এই অগ্রগতিতে দলীয় নেতৃত্ব সন্তুষ্ট হলেও নিহত অনুপম দত্তর স্ত্রী সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান বলে খবর।