দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। নিহত মৎস্যজীবীর নাম পুঞ্চু মুন্ডা। বয়স ৫৭ বছর। কুলতলি মইপিট কোস্টাল থানার নাগেনাবাদ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
স্থানীয় ও বনদপ্তর সূত্রে খবর, শুক্রবার মৎস্যজীবীদের একটি দল সুন্দরবনের বন দপ্তরের আজমলমারির জঙ্গলে কাঁকড়া সংগ্রহ করতে যায়। সেখানেই শনিবার নদীর চরে নেমে কাঁকড়া সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করার সময় বাঘটি ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই দলের উপরে। পুঞ্চু মুণ্ডাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জঙ্গলের ভিতরে কিছুটা চলেও যায়। বাকি মৎস্যজীবীরা কোনওমতে প্রৌঢ় মৎস্যজীবীকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে পুঞ্চু মুন্ডার দেহ। তার জেরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৫৭ বছরের ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: বল ভেবে বোমায় হাত, খাস কলকাতায় বিস্ফোরণে হাত উড়ল কিশোরের]
পুঞ্চু মুন্ডার সঙ্গীদের বক্তব্য অনুযায়ী, চরে নৌকা ঠেকাতেই সঙ্গে সঙ্গে বাঘটি জঙ্গল থেকে লাফিয়ে পড়ে নৌকার উপরে এবং মুখে করে টানতে টানতে জঙ্গলের দিকে নিয়ে চলে যায়। পরে তাঁরা জঙ্গলে নেমে দেহটিকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে সমস্ত কিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। নিহতের মৎস্যজীবীদের সরকারিভাবে মাছ কিংবা কাঁকড়া ধরার অনুমতি ছিল না বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। তাই কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না পুঞ্চু মুন্ডার পরিবার।
এমন পরিস্থিতিতে দরিদ্র মৎস্যজীবীর পরিবারের পাশে দাঁড়ান কুলতলির জামতলা ব্লক হাসপাতালের BMOH ডা. চিত্রলেখা সর্দার। হাসপাতালের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করে মৎস্যজীবীর দেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রায়দিনই সুন্দরবনের বাঘের আক্রমণে মৎস্যজীবী নিহত হওয়ার খবর মিলছে। শনিবারের ঘটনা মিলিয়ে গত দেড় মাসে আট জন মৎস্যজীবী বাঘের আক্রমণের শিকার হলেন। যার মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।