সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নির্বাচনের পর শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ১৬ আগস্টের মধ্যে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। সবকটি জেলা পরিষদই শাসকদলের দখলে এসেছে। শুরু হয়েছে বোর্ড গঠনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া। কিন্তু তা শুরু হতে না হতেই অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বোর্ড গঠনে সংখ্যাধিক্য পেতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের জয়ী চার বিরোধী প্রার্থীকে কলকাতা থেকে অপহরণ করা হয়েছে। পঞ্চসায়র থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এনিয়ে উত্তাল মথুরাপুর এলাকা। যদিও তৃণমূলের দাবি, সবই সাজানো ঘটনা।
মথুরাপুর ১-এর কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (GP)। এখানে মোট ১৫টি আসনের মধ্যে সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছে ৪টি আসন। বিজেপি ৬টি, সিপিএম ৩টি ও বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ২টি আসনে। ফলে সংখ্যার বিচারে বিজেপির আসন সবচেয়ে বেশি। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এখানে ত্রিশঙ্কু বোর্ড হওয়ার কথা। আর এখানেই অভিযোগ, বিরোধী প্রার্থীদের নিজেদের দলে টেনে বোর্ড দখলের পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। সেই কারণে বিরোধী চার প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্তনের উপর টেলিফোন! নতুন ফ্যাশনে ফের ভাইরাল উরফি]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির (BJP) ৩ জয়ী প্রার্থী ও একজন বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী বৃহস্পতিবার এসেছিলেন কলকাতায়। পঞ্চসায়র এলাকায় একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন। রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ১১ টা ১৫ নাগাদ আচমকাই একটি গাড়ি এসে তাঁদের তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজে সবই দেখা গিয়েছে। খবর পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম (CPM) নেতৃত্ব। পঞ্চসায়র থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সিসিটিভ ফুটেজ থেকে গাড়ির নম্বর দেখে শুরু হয়েছে তদন্ত।
[আরও পড়ুন: ব্রিকসে সদস্য বাড়ানোর দাবিতে দাদাগিরি চিনের! তীব্র বিরোধিতা ভারত ও ব্রাজিলের]
বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kanti Ganguly) অভিযোগ, ”বিরোধী শিবিরের জয়ী প্রার্থীদের কোনও নিরাপত্তা নেই। চারজনকে কলকাতা থেকে অপহরণ করা হল। বোর্ড গড়ার জন্য এই কাজ করেছে তৃণমূল। আমরা হাই কোর্টে (Calcutta HC) যাচ্ছি মামলা দায়ের করতে। অপহৃতদের দ্রুত উদ্ধারের পর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে।” এদিকে, সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল সম্পাদক বাপি হালদারের দাবি, ”এসবই সাজানো ঘটনা। কোনও অপহরণ হয়নি। এঁরা সকলে তৃণমূলেই যোগ দেবেন। সেই কারণে নেতৃত্ব এসব বলে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা করছে।”
