নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে ৬টি ইস্যুকে হাতিয়ার করল এরাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের তরফে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien) ওই বৈঠকে অংশ নেন। ন্যায় সংহিতা আইন থেকে রাজ্যের বকেয়া-ছটি ইস্যু নিয়ে সরব হলেন তাঁরা।
তৃণমূলের (TMC) প্রথম বক্তব্য, কেন্দ্র সংসদ অধিবেশনের আগের সর্বদল বৈঠক ডেকে শুধুই সময় নষ্ট করছে। এতে কাজের কাজ হয় না। আগের বারও সরকার অধিবেশনের মাঝপথে হঠাত করে বিল পেশ করে পাশ করিয়ে নিয়েছে। দুই, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, দণ্ড সংহিতা এবং সাক্ষ্য আইন, এই তিনটি আইন যেন এই অধিবেশনে পাশ করানো না হয়। এগুলোতে অনেক সংশোধন প্রয়োজন। কোনওরকম তাড়াহুড়ো ঠিক নয়। তিন, ১০০ দিনের কাজ থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বরাদ্দ, রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সংসদে আলোচনা চায় তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর নগ্ন ছবি স্বামীকে পাঠিয়ে টাকা আদায়ের ছক! ফিল্মি কায়দায় যুবককে ধরল পুলিশ]
তৃণমূলের চতুর্থ দাবি, সরকার যেন এই অধিবেশন শুধু নিজেদের পিঠ চাপড়ানোর কাজে না ব্যবহার করে। মূল্যবৃদ্ধি-বেকারত্বের মতো ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়। পঞ্চম দাবি, সংসদের কোনও কমিটির রিপোর্ট পেশের আগে যেন ফাঁস না হয়। মহুয়ার ক্ষেত্রে যেভাবে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। সবশেষে তৃণমূল জানিয়েছে, তাঁরা সংসদে আলোচনা চায়। সরকার যেন কোনও অজুহাতে পিঠ বাঁচাতে অধিবেশন ভণ্ডুল না করে দেয়।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসকের থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ! গ্রেপ্তার খোদ ইডি আধিকারিক]
এদিনের সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্র জানিয়েছে, ৪ ডিসেম্বর থেকে শীতকালীন অধিবেশন হবে। মোট ১৫দিন সংসদ বসবে। তার আগে সর্বদল বৈঠকে ২৩টি দল ৩০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। সরকার পক্ষের দাবি, তাঁরা সব বিরোধী দলের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেছে।