shono
Advertisement

‘চুরি বন্ধ হলে একসঙ্গে দিল্লি যাব’, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর, পালটা তৃণমূলের

এদিকে বন্যা নিয়ে ফের কেন্দ্রে সর্বদলীয় প্রতিনিদল পাঠানোর প্রস্তাব রাজ্যের।
Posted: 09:24 PM Aug 01, 2023Updated: 09:24 PM Aug 01, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাসকদল চুরি বন্ধ করলে একসঙ্গে দিল্লিতে বকেয়া আদায় করতে যেতেও রাজি তিনি। মঙ্গলবার বিধানসভায় এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বিধানসভায় বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বঞ্চনা’ নিয়ে আলোচনায় বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর একটি চিঠি দেখিয়ে দাবি করেন, রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পাঠানোর অর্থের অপব্যবহার হয়েছে। যেখানে শাসকদল ব্যাপক হারে দুর্নীতি করেছে।

Advertisement

শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর গিরিরাজ সিংয়ের কাছে মোট ১৭টি অভিযোগ তিনি পাঠিয়েছিলেন। পালটা চিঠিতে গিরিরাজ তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর অভিযোগের মধ্যে দুটি বাদে সবগুলির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এরপরই শুভেন্দু দাবি করেন,”আমি কখনও কেন্দ্রের টাকা বন্ধ করার কথা বলিনি। আমি বলেছি চুরি বন্ধ করতে। চুরি বন্ধ হোক, দরকার পড়লে আমিও দিল্লি গিয়ে টাকা আদায় করব।” বস্তুত চুরি বন্ধ হলে তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে দিল্লি যাওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন শুভেন্দু।

[আরও পড়ুন: শোকজের জবাব দেওয়ার আগে সুব্রত বক্সিকে ফোন বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের, কী উত্তর মিলল?]

যার পালটা এসেছে তৃণমূলের তরফে। শাসক দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পালটা শুভেন্দুকে বিঁধে মনে করান, এর আগে গঙ্গাভাঙন প্রতিরোধে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার জন‌্য বিরোধীদেরও আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ‌্যমন্ত্রী। বিরোধী দলের নেতাও মনোজ টিগ্গা সহমত পোষণ করেছিলেন। কিন্তু শুভেন্দুর আপত্তিতে আর বিজেপির কেউ রাজ্যের প্রতিনিধি দলে শামিল হয়নি। কুণালের (Kunal Ghosh) কটাক্ষ, সদিচ্ছা থাকলে তখনই আপত্তি করত না।

[আরও পড়ুন: লোকসভায় পেশ বিতর্কিত দিল্লি সার্ভিসেস বিল, মোদিকে সমর্থন নবীন পট্টনায়েকেরও]

এদিকে, ভুটান থেকে জল এসে প্লাবিত হচ্ছে উত্তরবঙ্গের একের পর এক এলাকা। আর এই সমস‌্যা সমাধানেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবারে বিরোধীদেরও সঙ্গ চেয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik)। মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন,”আলিপুরদুয়ারে রাজ‌্য সরকার ভাঙন প্রতিরোধে সমস‌্যার সমাধান করলেও ভুটান থেকে যে জলটা আসছে সেই জল বন্ধ না করলে এলাকা প্লাবিত হবেই। ভুটানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা দরকার। তাই রাজ্যের স্বার্থে সর্বদলীয় প্রতিনিধির প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়া প্রয়োজন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement