অর্ণব দাস, বারাকপুর: লোকসভা ভোটের আগে ভাটপাড়ায় তৃণমূলে ভাঙন। শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ভাটপাড়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর সত্যেন রায়। বৃহস্পতিবার বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং ও জেলা সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন তিনি।
সত্যেন রায় দীর্ঘদিনের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, দলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি ঘাসফুল শিবিরে ছিলেন। তবে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার সময় অভিযোগ তোলেন, দলের তাঁর গুরুত্ব ছিল না। তাঁর ছেলে ও ভাইকে তৃণমূলেরই লোকেরা মারধর করেছে। সদ্য পুরনো দলের শীর্ষ নেতাদের সে কথা জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁর দাবি। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূলে এখন পুরনো নেতাদের কোনও মূল্য নেই। চোরেরা দল চালাচ্ছেন। তাই তিনি দল ছাড়লেন।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে বারুইপুরে বড়সড় নাশকতার ছক! বন্দুক, কার্তুজ-সহ গ্রেপ্তার দুষ্কৃতী]
ভাটপাড়া (Bhatpara) বিধানসভার মজদুর ভবনে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে সত্যেন বলেন, "অর্জুনদার সঙ্গে ভালোবেসে দল করেছিলাম। এখন খুব লজ্জা হয়। তৃণমূলের কাউন্সিলর হয়েও আমাকে, আমার ছেলেকে, ভাইকে তৃণমূলের লোকেরাই মারছে। মানুষ যেভাবে অর্জুন সিংয়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সেই আতঙ্কেই এই সব করা হয়েছে। যে দলে সম্মান নেই, কাউন্সিলরকে আক্রান্ত হতে হয়। সেই দল আর করা যায় না। পার্থ ভৌমিক আমাকে ফোন করেছিলেন। বলেছি, আর দল করব না।" তাঁর আরও দাবি, তৃণমূলের অনেকেই বিজেপি যোগ দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অর্জুন সিং এই যোগদানের বিষয়ে বলেন, "তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে সত্যেন দল করত। কিন্তু ওঁকে অপমান করা হয়েছে। সত্যেনের ছেলে ও ভাইকেও মেরেছে ওরা। কালকে ও বলল এই তৃণমূল আর করব না।"
[আরও পড়ুন: ইভিএম-ভিভিপ্যাট ১০০ শতাংশ মিলিয়ে দেখার দাবি, কমিশনের থেকে ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট]
এই প্রসঙ্গে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম (Somenath Shyam) বলেন, "সত্যেন রায় আমার ছোটবেলার বন্ধু। ও জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। আমার বিশ্বাস ছিল ও দল ছেড়ে যাবে না। দলীয় কার্যালয়ে কাউন্সিলর আক্রান্ত হওয়ার যে ঘটনা ঘটেছিল সেটা আমরা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। এনিয়ে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হত। ও খুব তাড়াহুড়ো করে ফেলল। আমি বলব এটা সঠিক সিদ্ধান্ত হল না।"