শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল। বুকে ব্যথা নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। সংশোধনাগারের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে তেমন চিকিৎসা পরিকাঠামো নেই, সে কারণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে একটি কেবিনে চলছে অনুব্রতর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা।
গরু পাচার মামলায় গত ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তারপর থেকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারই ঠিকানা তাঁর। সিবিআইয়ের পর ইডিও গ্রেপ্তার করেছে তাকে। গত বৃহস্পতিবার ইডি তাকে গ্রেপ্তার করলেও এখনও ওই সংশোধনাগারেই রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। ওইদিন তাঁকে ইডি আধিকারিকরা একটানা সাড়ে পাঁচঘণ্টা জেরা করে। শনিবারও তাঁকে জেরা করতে সংশোধনাগারে যান সিবিআই আধিকারিকরা। দফায় দফায় জেরা করা হয় তাঁকে। জেরার পর থেকে অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন অনুব্রত। রবিবার সকালে বুকে ব্যথা হচ্ছে বলেই সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে জানান অনুব্রত।
[আরও পড়ুন: সারদা মামলার তদন্তে ইডি? শুভেন্দুর মন্তব্যে জল্পনা, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, পালটা তৃণমূলের]
আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে মেডিক্যাল ওয়ার্ড রয়েছে। তবে সেখানে চিকিৎসা পরিকাঠামো প্রায় নেই বললেই চলে। একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ছাড়া আর কেউই নেই সংশোধনাগারের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে। তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে তড়িঘড়ি অনুব্রতকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। গাড়ি থেকে নেমে সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা পরা অনুব্রত হেঁটে হেঁটে হাসপাতালে ঢোকেন। অনুব্রত মণ্ডলের জন্য হাসপাতালে জোর তোড়জোড়। জরুরি বিভাগে পাশে একটি কেবিনে চলছে অনুব্রতর চিকিৎসা। সেখানে সমস্তরকম শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। ঠিক কী সমস্যা হচ্ছে অনুব্রতর, তা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যাবে।
এদিকে, আসানসোলে থাকবেন নাকি দিল্লিতে অনুব্রতকে নিয়ে যাবেন ইডি আধিকারিকরা। টানাপোড়েনের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। ইতিমধ্যেই দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রতকে রাজধানী নিয়ে গিয়ে জেরার অনুমতি চেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি। সম্ভবত ওইদিনই নিশ্চিত হবে অনুব্রতর ভাগ্য।