shono
Advertisement

Anubrata Mandal: বিশ্বকর্মা পুজোয় শুনশান ভোলে ব্যোম রাইস মিল, জেলে বসে কী করলেন অনুব্রত?

এই প্রথমবার বিশ্বকর্মা পুজোতেও নিজের বাড়িতে থাকতে পারলেন না অনুব্রত।
Posted: 07:51 PM Sep 17, 2022Updated: 07:51 PM Sep 17, 2022

শেখর চন্দ্র ও নন্দন দত্ত: বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে। গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারেই দিন কাটছে তাঁর। ধর্মপ্রাণ কেষ্টর কৌশিকি অমাবস্যা কেটেছিল গরাদের ভিতর। এই প্রথমবার বিশ্বকর্মা পুজোতেও নিজের বাড়িতে থাকতে পারলেন না অনুব্রত। জেলে কীভাবে কাটল আজকের বিশেষ দিন?

Advertisement

জেল সূত্রে খবর, এদিন আর পাঁচদিনের মতো নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন অনুব্রত। এরপর খাওয়াদাওয়া সারেন। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা অনুযায়ী শনিবার আর আমিষ খাবার খাননি অনুব্রত। এদিন দুপুরে নিরামিষ খাবারই খান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। মেনুতে ছিল খিচুড়ি ও আলুর দম।

[আরও পড়ুন: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, ‘বিশ্বকর্মা বাংলা ছেড়ে পালিয়েছেন’, ফের বেফাঁস মন্তব্য দিলীপের]

উল্লেখ্য, এর আগেও খাবার নিয়ে বারবার নানা আবদার করতে শোনা গিয়েছে অনুব্রতকে। সূত্রের খবর, সিবিআই জেরার সময় আধিকারিকদের কাছে চারাপোনা এবং দেশি মুরগি খেতে চেয়েছিলেন অনুব্রত। আবার কৌশিকি অমাবস্যায় পুজোপাঠ সেরে খাসির মাংস খাওয়ারও নাকি আবদার করেছিলেন। যদিও কোনও সময়েই দাবি মেটেনি তাঁর। আর পাঁচজন অভিযুক্ত যেভাবে জেলে থাকে, নির্দিষ্ট খাবারদাবার খায় সেভাবেই অনুব্রতকে থাকতে হবে বলেই জানিয়ে দেয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে কার্যত বন্ধই রইল বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিল।‌ পুজো হলেও সে জৌলুস আর নেই। মূল ফটকে কয়েকটি আমের পাতা দড়ি দিয়ে ঝোলানো ছিল। অথচ স্থানীয়দের দাবি, আগে বিশ্বকর্মা পুজোর সপ্তাহখানেক আগেই রাইস মিলে শুরু হয়ে যেত আয়োজন। অনুব্রত গ্রেপ্তারির পর সবই যেন বদলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবারও সিবিআইয়ের তিন সদস্যের দল বোলপুর নিচুপট্টিতে গিয়ে
অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে এই রাইসমিল-সহ বিপুল সম্পত্তি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে এই রাইস মিলটি হস্তান্তর হওয়ার পর নাম হয় ভোলে ব্যোম।

বর্তমানে এই রাইস মিলের মালিক অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা। ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি কী করে ৫ কোটি টাকায় কিনেছিলেন সুকন্যা? জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় সে প্রশ্ন ছিল তদন্তকারীদের। সামান্য মাস মাইনের শিক্ষিকা সুকন্যা কোথায় পেলেন বিপুল টাকা? সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সব প্রশ্নের উত্তর সুকন্যা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’তে দিয়েছেন। তার বেশি কিছু বলতে চাননি। হিসাবরক্ষক মণীষ কোঠারী সব জানেন বলেও দাবি সুকন্যার। তাঁকেও কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

[আরও পড়ুন: ‘কোহিনূর ফিরিয়ে দেখান, বুঝে যাব ৫৬ ইঞ্চি’, জন্মদিনে মোদিকে খোঁচা তৃণমূলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement