নন্দন দত্ত, বীরভূম: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। বীরভূমের (Birbhum) যে কোনও নির্বাচনে দলের দায়িত্ব এতদিন ছিল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কাঁধে। এবার তিনি জেলে। ফলে বীরভূম জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব নিজে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই জেলা থেকে ব্লক, বীরভূমের সমস্ত স্তরের আড়াইশোর বেশি নেতৃত্বকে নিয়ে আজ অর্থাৎ শুক্রবার কালীঘাটে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার আগেই দল ছাড়লেন নলহাটির তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।
জানা গিয়েছে, নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের বাউটিয়ার অঞ্চল সভাপতি মৃগাঙ্ক মণ্ডল। মাস দুয়েক আগে তাঁর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখানেই সমস্যার শুরু। সেই সময় পারিবারিক সমস্যার কথা বলে পদ থেকে অব্যহতি চান মৃগাঙ্ক। এই মর্মে নলহাটির বিধায়ককে চিঠিও পাঠান। অভিযোগ, সেই সময় দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিধায়ক বলেন, ২০২১ সালেই নাকি সরানো হয়েছে মৃগাঙ্ককে। বিষয়টা মোটেও ভালভাবে নেননি মৃগাঙ্ক। এরপরই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কালীঘাটের বৈঠকের ঠিক আগেই দল ছাড়লেন মৃগাঙ্ক।
[আরও পড়ুন: ED, CBI-এর ‘অপব্যবহার’, গ্রেপ্তারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের ১৪ বিরোধী দলের]
এ বিষয়ে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মৃগাঙ্ক মণ্ডল বলেন, “আমি পারিবারিক সমস্যার জন্য কাজ থেকে অব্যহতি চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। বিধানসভা ভোটে বাউটিয়া অঞ্চল পিছিয়ে পড়েছিল। বলা হয়েছে, সেই কারণে নাকি আমাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কিন্তু লোকসভায় তো বিধায়ক ও তাঁর ভাইয়ের এলাকার ফলও ভাল হয়নি। তাহলে তাকে কেন নিষ্ক্রীয় করা হল না?” এ বিষয়ে বিধায়ক বলেন, “দলের সিদ্ধান্তেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।” এ বিষয়ে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য বিপ্লব ওঝা বলেন, “নলহাটি জুড়ে বিধায়ক ও তার ভাইয়ের সিন্ডিকেট রাজ চলছে। তাই দমবন্ধ অবস্থা কর্মীদের।”