অর্ণব দাস, বারাকপুর: উচ্চ নেতৃত্বের বার্তা মেনে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অর্জুন। কিন্তু যুদ্ধ থামাতে নারাজ শ্যাম। এবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বারাকপুরের সাংসদকে নাম না করে বিঁধলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। সোমবার জগদ্দলের মামুদপুরে অঞ্চল যুব তৃণমূলের রক্তদানের মঞ্চকে ব্যবহার করে আক্রমণ শানালেন তিনি।
অর্জুনের ছেলে পবনের প্রসঙ্গ টেনে সোমনাথের বক্তব্য, “২০১৯ বিজেপির সাংসদ হয়ে আমাদের তেরোটি কর্মীকে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় জেলে পাঠিয়েছিল। প্রায় দুবছর হয়ে গেলো তারা এখনও জেলাবন্দি। ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিং আদালতে এদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়ে এসেছিল।” এর পরই তিনি নাম না করে অর্জুন সিংকে আক্রমণ করে বলেন, “ছেলে বলবে আমাদের কর্মীকে জেলে ভরতে, অন্য কেউ আবার তৃণমূলের পতাকা নিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধ করবে, এটা আমরা মেনে নিতে পারব না। এক পা বিজেপিতে, এক পা তৃণমূলে এটা আমরা মেনে নেব না।”
[আরও পড়ুন: রাজ চক্রবর্তীর ‘বাবলি’তে আবির-শুভশ্রী জুটি, বছরের শুরুতেই চমক দিলেন পরিচালক]
প্রসঙ্গত, দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নিষ্ফলা বৈঠকের পরেরদিন রবিবারও নাম না করে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তবে, দলের রাজ্য সভাপতি বারণ করার পর থেকে এবিষয় নিয়ে আর মুখ খোলেননি বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি শুধু জানিয়ে ছিলেন সঠিক সময় দল এর উত্তর দেবে। কিন্তু তারপরও এদিন সোমনাথের আক্রমণ থেকে সমঝোতা না মানার ইঙ্গিত স্পষ্ট বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে, রাজনৈতিক এই উত্তাপের মাঝেই ভাটপাড়া পুরসভার ১৪নম্বর ওয়ার্ডের মানিকপীর এলাকায় রবিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীদের তান্ডবে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ, ইট পাটকেল, মদের বোতল ছুড়ে সাত আটটি বাড়ির দরজা, জানালা ভাঙা হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই এমনটা করা হয়েছে। প্রতিবাদে সোমবার সকালে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। ভাটপাড়া থানায় এবিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।