টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ভূমিপুত্র হিসেবে ধাপে ধাপে লড়াই করে রাজনৈতিক জমি তৈরি, বিধায়ক থেকে সাংসদ হিসেবে উত্তরণ। বাঁকুড়া থেকে এবারের লোকসভা ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। এই প্রথমবার সংসদের পথে তাঁর যাত্রা শুরু। নিজের লড়াই তো আছেই। কিন্তু যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাঁকুড়ার 'গেরুয়া' জমিতে ঘাসফুল ফোটানোর সাফল্য পেয়েছেন, আজকের সুদিনে সেই দলীয় কর্মীদের ভুললেন না অভিজ্ঞ রাজনীতিক অরূপ চক্রবর্তী। তাঁদের উপহার স্বরূপ নিজের শপথ অনুষ্ঠানে ১০০ জন তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে দিল্লিযাত্রা করলেন তিনি। রবিবার অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে বিকেল ৪টের বিমানে দিল্লি রওনা হন তিনি। সঙ্গী একশো দলীয় কর্মী। দেখেশুনে সকলেই মানছেন, এ এক নজিরবিহীন ঘটনা।
তালড্যাংরার বিধায়ক ছিলেন অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)। পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার তৃণমূল সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। সংগঠনের শক্তপোক্ত নেতা হিসেবে তাঁকেই চব্বিশের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বাঁকুড়ার প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। সেই ভরসা রেখেছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে হারিয়ে রাঢ়বঙ্গের এই আসন তৃণমূলকে উপহার দিয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী। এবার সাংসদ পদে শপথ নেওয়ার পালা। সোমবার অর্থাৎ ২৪ জুন থেকে দিল্লিতে (Delhi) নবগঠিত সংসদের অধিবেশন শুরু। প্রথমে নির্বাচিত সাংসদদের শপথ অনুষ্ঠান।
[আরও পড়ুন: সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিড়ম্বনায় পুরোহিত! ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা, কেন?]
সেই শপথে (Oath taking ceremony) থাকুক দলীয় কর্মীরা, এটাই চান অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘দলের নেতা, কর্মীদের প্রবল পরিশ্রমের ফলেই আমি নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। আমাদের এই জয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো তৃণমূল (TMC) শিবির। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নেতা-কর্মীরা চেয়েছিলেন, আমার শপথগ্রহণের দিন দিল্লিতে উপস্থিত থাকতে। তাঁরা নিজেরাই সেই সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন। আমার সঙ্গে একশোজন কর্মী বিমানে রওনা দিচ্ছেন।’’ সাংসদকে ঘিরে দলের সাধারণ কর্মীদের এই আবেগ নজিরবিহীন বলেই মত তাঁর। এদিন নবনির্বাচিত অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে তাসা-বাজনা নিয়ে বাঁকুড়ার (Bankura) এক পার্কে জমায়েত করেন দলের সমর্থকরা। মহাসমারোহে সকলে চললেন দিল্লির পথে।