সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকে লাগাতার গরহাজির তৃণমূল! যোগ দিচ্ছে না আদানি বিরোধী কর্মসুচিতেও। সেটা নিয়ে ফের দিদি-মোদি আঁতাঁতের তত্ত্ব তুললেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর ইঙ্গিত, বিজেপির (BJP) সঙ্গে মসৃণ সমীকরণ বজায় রাখতেই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে তৃণমূল। পালটা এসেছে তৃণমূলের তরফেও। এরাজ্যের শাসকদল বলছে, যে কংগ্রেস রাজ্যে তৃণমূলকে হারাতে বিজেপির সাহায্য নিচ্ছে, তাদের সঙ্গে একমঞ্চে বিজেপি বিরোধিতা সম্ভব নয়।
আদানি (Gautam Adani) ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবিতে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের একেবারে শুরু থেকেই একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে বিরোধীরা। কিন্তু কংগ্রেসের নেতৃত্বে সেই বিক্ষোভে একবারও শামিল হতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে। বুধবার বিরোধীদের ইডি অভিযানে গরহাজির ছিল এরাজ্যের শাসকদল। বৃহস্পতিবার সংসদে মানববন্ধন করেছেন কংগ্রেস-সহ ১৭টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। সেই কর্মসূচিতেও ছিল না তৃণমূল (TMC)। এরাজ্যের শাসকদল নিজেদের মতো করে আলাদা বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: হু হু করে বেড়ে মুরগি ৩০০ টাকার দোরগোড়ায়, ছুটির দিনে পাতে মাংস থাকবে তো?]
এমনকী, গত তিনদিন পরপর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বিরোধী বৈঠকে গরহাজির থেকেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিনও বিরোধীদের বৈঠকে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি যোগ দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বলছেন, ‘দিদি-মোদির আঁতাঁতের জন্যই বিরোধীদের কর্মসূচিতে থাকছে না তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীকে রাগাতে চাইছে না তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ‘নাগরিকত্ব দিলেই ফিরব’, মায়ানমারের প্রতিনিধি দলকে সাফ বার্তা রোহিঙ্গাদের]
পালটা এসেছে তৃণমূলের তরফেও। সাগরদিঘি প্রসঙ্গ তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলছেন, রাজ্যে তৃণমূলকে হারাতে বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত করছেন অধীর চৌধুরীরা। আবার দিল্লিতে গিয়ে তাঁরাই বিজেপি বিরোধিতার নাটক করছেন। এই কংগ্রেসের সঙ্গে একমঞ্চে গিয়ে বিজেপি বিরোধিতা করা সম্ভব নয়।