চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: পরপর ২ দিন তৃণমূল নেতা খুন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। শুক্রবার সকালে বাজার করে ফেরার পথে খুন (Murder) হলেন কুরনুরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) সদস্য মোস্তফা শেখ। বড়ঞা থানা এলাকার সুন্দরপুর মোড়ের কাছে এই ঘটনায় সাতসকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।
মুর্শিদাবাদের শ্রীরামপুর গ্রামে বাড়ি মোস্তাফা শেখের। কুরনুরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তিনি। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালেও তিনি বাইক নিয়ে সুন্দরপুর মোড়ে বাজার করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাজ্য সড়ক ধরে ফেরার পথে চৈত্রপুর-রাজহাট গ্রামের মাঝে মাঠে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে তাড়া করে। তারপর চলে বোমাবাজি। বোমার আঘাতে বাইক থেকে পড়ে যান মোস্তাফা। তারপর তাঁকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি (Shootout) চলে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে। তারপর ধানখেতের পাশে তাঁকে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তদন্তে নেমেছে বড়ঞা থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: Weather Update: দক্ষিণবঙ্গবাসীর জন্য সুখবর, রবিবার থেকেই দেখা মিলতে পারে রোদের]
এই হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক নাকি পারিবারিক, তা নিয়ে এখনও সংশয়ে তদন্তকারীরা। তবে এর নেপথ্যে রাজনৈতিক যোগ দেখছেন বড়ঞার যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলম। তিনি জানাচ্ছেন, যেখানে মোস্তাফার বাড়ি এবং তিনি যে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, তা পুরোপুরি বিজেপির গড়। গত বিধানসভা নির্বাচনেও এখানে লিড পেয়েছে বিজেপি। তাঁর মতে, নিজেদের রাজনৈতিক শক্ত জমিতেও মোস্তাফা শেখের মতো তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েতের সদস্য হওয়ায় বিজেপির টার্গেট ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাস্তার মাঝে বোমা, গুলি চালিয়ে, কুপিয়ে খুনের ঘটনায় সেই যুক্ত। অন্যদিকে, পারিবারিক কোনও ঝামেলার জেরে এই ঘটনা কি না, তা নিয়ে পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরেই কান্দি এলাকায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকে খুন করা হয়েছিল। ঠিক তার পরেরদিনই খুন হলেন পঞ্চায়েত সদস্য।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের কর্মসূচিতে ‘Suvendu Adhikari জিন্দাবাদ’ স্লোগান! ভাইরাল ভিডিও]
অন্যদিকে, বসিরহাট মহকুমার তেঁতুলিয়ায় ইছামতি নদীর খালপাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে বছর ২৪এর আইটিআই ছাত্র উৎপল বিশ্বাসের রক্তাক্ত দেহ। কলকাতার টালিগঞ্জের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন উৎপল বিশ্বাস। শুক্রবার সকালে তেঁতুলিয়ায় ইছামতি নদীর পাড়ে কচু বাগান থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।