নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের সঙ্গে আর নয়, এককভাবেই কেন্দ্রবিরোধী লড়াইতে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তা সংসদের ভিতরে হোক বা বাইরে। ‘একলা চলো’ নীতি নিয়েছে তৃণমূল। আর মঙ্গলবার আদানি-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদের (Parliament) বাইরে গান্ধীমূর্তির নিচে ধরনায় বসলেন তৃণমূল সাংসদরা। রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, সৌগত রায়, মৌসম বেনজির নুর, দোলা সেনরা।
দিনকয়েক আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কারও সঙ্গে নয়, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল একাই লড়বে। কংগ্রেসের সমালোচনাও করেছিলেন কঠোর ভাষায়। এবার তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সংসদে। সোমবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুর দিনেই সকালে কংগ্রেস (Congress) সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ পেলেও তৃণমূলের কেউই হাজির ছিলেন না।
[আরও পড়ুন: ‘পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেব’, নন্দীগ্রাম দিবসে হুঙ্কার শুভেন্দুর, পালটা জবাব চন্দ্রিমার]
সেই অবস্থান থেকেই এদিন খাড়গের নেতৃত্বে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনাতেও তৃণমূল যায়নি। লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদরা ওয়েলে নেমে হইচই করলেও নিজেদের আসনেই বসে ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। আর মঙ্গলবার অধিবেশন শুরুর আগে সকাল দশটা নাগাদ সংসদ চত্বরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা শুরু করলেন তৃণমূল সাংসদরা (TMC MP)। এসবিআই, এলআইসি-তে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের ভবিষ্যৎ কী, কেন্দ্র সরকার জবাব দিক – পোস্টারে এই দাবি তুলে ধরে অর্থাৎ এককথায় আদানি ইস্যুকে সামনে রেখে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করল তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: পরমাণু বোমা ফাটাতে চলেছে উত্তর কোরিয়া!]
বিক্ষোভের পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি জনসাধারণকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে। এসবিআই ও এলআইসি-র মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানের উপর চাপ সৃষ্টি করে আদানিদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। এটা কাম্য নয়। আমাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে আসতে হবে এবং মানুষকে এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে হবে। এছাড়া আমরা দেখেছি যে রাহুল গান্ধী যে বক্তব্য রেখেছেন সংসদে, তার কিছু অংশ কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক। এভাবে সংসদ চলতে পারে না। আমরা এমনই কয়েকটি বিষয়ে নিজেদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।”