সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হল বৈশালী ডালমিয়াকে। দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করল দল। অভিযোগ, প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন তিনি। তারই ‘শাস্তিস্বরূপ’ বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। তবে দলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বালির বিধায়ক।
বৈশালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় তিনি মুখ খুলেছিলেন। শুক্রবার এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ আনেন তিনি। বেলা গড়াতেই দল থেকে বহিষ্কার করা হল বালির বিধায়ককে। দলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছেন বৈশালী ডালমিয়া। এমনকী, দলবিরোধী একাধিক মানুষের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এ ধরনের কার্যকলাপ নিয়ে তাঁকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল, তবু নিজের আচরণ বদলাননি। তাই এবার বৈশালীকে বহিষ্কৃত করা হল। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই পদক্ষেপ করে দলের ‘বেসুরো’ বিধায়কদের কড়া বার্তা দিল তৃণমূল।
[আরও পড়ুন : ‘নন্দীগ্রামে আমিই মমতাকে হারাব’, শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা]
দলের অভিযোগ মানতে নারাজ বৈশালী। তাঁর কথায়, “কাটমানি নিতে বারণ করেছিলাম, অবৈধ নির্মাণের বিরোধিতা করেছিলাম। এটাই কি আমার দলবিরোধী কাজ? এ কথাগুলো তুলে ধরা যদি বেইমানি হয়, তাহলে আমি বেইমান। তবু মানুষের পাশ থেকে আমি সরব না। মানুষের জন্য আমি কাজ করব।” বহিষ্কারের পরও মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বৈশালীর কথায়, “বহিষ্কারে আমার কিছু যায় আসে না। তবে দলের মধ্যে যে উইপোকার ঢিবি ছিল, তা রয়েই গেল।”
বালির বিধায়ককে বহিষ্কার প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বৈশালীর কার্যকলাপ দলের কেউ পছন্দ করছেন না। ওঁরা বৈশালী-রাজীব) আসলে অভিনয় করছেন। ভোটের মুখে দলের পিছনে ছুরি মারবেন ও দলকে অস্বস্তিতে ফেলবেন বলে যদি মনে করে থাকেন, তাহলে তাদের সেই মনোভাব কেউ মেনে নেবে না।”
[আরও পড়ুন : জেলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির জের? ভোটের মুখে বীরভূম ও পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার বদল]
এবার বৈশালীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী? তিনি কি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন? দল থেকে বহিষ্কারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এই প্রশ্ন উড়ে আসে তাঁর দিকে। জবাবে বৈশালী জানান, “আমি এখনও কিছু ভাবিনি। সময় এলে ভাবা যাবে।” বহিষ্কার প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেউ দলে থাকতে চাইছেন না, কাউকে দল রাখতে চাইছে না। এভাবেই পার্টিটা ফাঁকা হয়ে যাবে।”