ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর থেকেই জাতীয় স্তরে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তারে মনোনিবেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা, থেকে গোয়া- নির্বাচনী লড়াইয়ে শামিল বাংলার শাসক দল। এমনকী ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলে দিয়েছেন, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকেও প্রার্থী দেবে তৃণমূল। সব মিলিয়ে কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে উৎখাতকেই পাখির চোখ করছেন মমতা। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাজধানীতেই ওয়ার্কিং কমিটির পরবর্তী বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, গোয়া ও মনিপুরের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। জানা যাচ্ছে, তারপরই দিল্লিতে কর্মসমিতির বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ এই পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের উপর নির্ভর করতে পারে তৃণমূলের (TMC) পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি। কোন রাজ্যে কোন দল সরকার গঠন করল দেখেই জাতীয় স্তরে নিজেদের ঘুঁটি সাজানোর পরিকল্পনা করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: বাম প্রার্থীর বাড়িতে হাজির মদন মিত্র! পুরভোটের আগে কামারহাটিতে অন্য সমীকরণ]
গতকালই কালীঘাটে কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকের পর পদাধিকারীদের নাম ঘোষিত হয়েছে। যেখানে আবারও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে ফিরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, শুক্রবারের বৈঠককে কেন্দ্র করে নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু কমিটিতে নেতৃত্বের সমন্বয়ই রক্ষা করলেন মমতা। বৈঠকে জাতীয় পরিস্থিতি, ভিনরাজ্যের সংগঠন, বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীদের জোট ইত্যাদি বিষয়গুলি দলনেত্রীর মন্তব্যে গুরুত্ব পেয়েছিল। এমনকী দলের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে ও কাজের সুবিধার্থে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হবে জানানো হয়।
আর তারপরই ঠিক হয়ে যায় দিল্লিতেই হবে পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। চব্বিশের লোকসভায় কীভাবে বিজেপি সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে দল। পাঁচ রাজ্যের ফলের পর থেকেই তা নিয়ে শুরু হয়ে যাবে আলোচনা।