নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পিকনিকের নাম করে শুক্রবার সন্ধেবেলা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতভর নিখোঁজ থাকার পর আজ সকালে মাঠ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হল এক তৃণমূল কর্মীর। বীরভূমের খয়রাশোলের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করছে একাংশ। দলের পালটা দাবি, দলীয় কোন্দল নয়, বিজেপির হাতে খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। তদন্তে নেমেছে খয়রাশোল থানার পুলিশ।
মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম শিশির বাউড়ি। খয়রাশোল থানার আমাজোলা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী বুলু জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধে নাগাদ শিশিরকে পিকনিকের নাম করে ডেকে নিয়ে যান তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান কিশোর মণ্ডল। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি শিশির। আজ সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে রানিপাথরের মাঠে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় শিশির বাউড়ির দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর কানের পাশে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। শিশিরের স্ত্রীর অভিযোগ, মৃত্যুর নেপথ্যে অঞ্চল সভাপতি কিশোর মণ্ডলের হাত আছে। অর্থাৎ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে ভিজল কলকাতা, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস এই সব জেলায়]
এদিকে, তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি কিশোর মণ্ডল পিকনিকের জন্য শিশিরকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ”ও কাল আমার সঙ্গেই ছিল। রাতে যে যার বাড়ি চলে যাই। তারপর সকালে এই খবর পাই। ও এলাকায় সংগঠনের কাজ খুব ভালভাবে করত। তাই প্রতিহিংসাবশত বিজেপি পরিকল্পনা করে ওকে খুন করেছে।” বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মণ্ডলের বক্তব্য, ”মিথ্যে কথা বলছে তৃণমূল। তদন্ত করলেই বোঝা যাবে প্রকৃত খুনি কে। আমরা চাই, প্রকৃত খুনিকে খুঁজে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক।” তবে খাস অনুব্রতর গড়েই রাজ্যের শাসকদলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। আগেও কয়েকবার এর জেরে রক্তাক্ত হয়েছে এই জেলা।
[আরও পড়ুন: বর্ষায় ফণা তুলছে কেউটে-কালাচরা, ক্যানিংয়ে ৭ দিনে সর্প দংশনের শিকার শতাধিক]
The post পিকনিকের নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে খুন, বীরভূমে তৃণমূল কর্মী হত্যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ appeared first on Sangbad Pratidin.