স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি : আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে সভাপতি পেতে চলেছে কংগ্রেস (Congress)। খুলে যাবে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নেমপ্লেট। কিন্তু তার আগেই কংগ্রেসের একাধিক সিদ্ধান্তে বিতর্কের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। হিমাচল প্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপিতে যখন প্রার্থী বাছাই নিয়ে চলছে বৈঠক, ৬৮টি আসনের মধ্যে এদিন ৪৬টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে দিল কংগ্রেস।
বুধবারই দলের দায়িত্ব নেবেন নতুন সভাপতি। তার আগে এভাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেওয়ার কী প্রয়োজন ছিল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়। বুধবার দুপুরে আদোনি থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ কেন সভাপতি নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকতে গেলেন রাহুল? অনেকের ধারণা, হয়তো রাহুল দেখতে চাইছেন দিনের শেষে সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে কংগ্রেস সদস্য-সমর্থকরা কাকে বেশি গুরুত্ব দেন।
[আরও পড়ুন: ভয়ংকর ঘটনা জলন্ধরে, স্ত্রী, দুই সৎ ছেলে-সহ পরিবারের ৫ সদস্যকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল যুবক]
এই বক্তব্যের সারবত্তা কতখানি, তা বলবে সময়। তবে সভাপতির পদে যিনি আসীন হতে চলেছেন, শুরুতেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ হার্ডল। প্রথমেই তাঁকে খুলতে হবে রাজস্থান মসনদের জট। হাইকমান্ডের পছন্দের অশোক গেহলট যেভাবে শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছেন, তার শাস্তি কী হবে? নাকি শচীন পাইলটকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী করা হবে? যদিও কংগ্রেসের একটি মহলের বক্তব্য, পাঞ্জাবের মতো ভুল হয়তো নির্বাচনের আগে আর করবে না দল। সেক্ষেত্রে তিন বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে শাস্তি দিয়ে বার্তা দেওয়া হতে পারে গেহলটকে। প্রদেশ সভাপতি করা হতে পারে শচীনকে। সামনেই হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। নতুন সভাপতির উপর এই বৈতরণী পার করার গুরুদায়িত্বও থাকবে। পাশাপাশি ২০২৪-এর লক্ষ্যে কোন পথে এগোবে কংগ্রেস, এই বড় সিদ্ধান্ত তো আছেই।
[আরও পড়ুন: ‘উনি ধর্ষকদের পাশে’, বিলকিস কাণ্ডে মোদিকে তীব্র আক্রমণ রাহুলের]
তবে চুপচাপ বসে নেই সোনিয়া গান্ধী। তাঁর নির্দেশে এদিন শরদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে এবং উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা। আগামী মাসে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা মহারাষ্ট্রে প্রবেশ করবে। সেই সময় তাঁরা রাহুলের পায়ে পা মেলাবেন এই আশ্বাস এদিন দিয়েছেন এই মারাঠি নেতারা। এর মাঝেই এদিন অন্ধ্রপ্রদেশ প্রবেশ করল যাত্রা। তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটকের পর চতুর্থ রাজ্যেও অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে রাহুল গান্ধীদের অভ্যর্থনা করা হয়।